বীরভূমের দুবরাজপুরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহিনী সূত্রধর । নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ২৩ বছের সোহিনী। তিনি ছিলেন দুবরাজপুর শহর তৃণমূলের আইটি সেলের পাশাপাশি ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সদস্যা । আত্মহত্যার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুবরাজপুর থানার পুলিশ। সোহিনীর মৃতদেহ উদ্ধার করার পর সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলের অভিযোগেই আবাস যোজনার তদন্ত? মালদহে বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
আরও পড়ুন: 'টিআরপি চলে গিয়েছিল, একের পর এক ছবি ফ্লপ করেছিলেন,' মিঠুনকে বেনজির আক্রমণ কুণালের
ওই দিন রাতে সোহিনীর পরিবারের লোকজন বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুরের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অভিনিবেশ রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেন দুবরাজপুর থানায়। তাঁদের অভিযোগ এক বছর আগে রেজিস্ট্রি করলেও বিয়ে করতে চাইছিলেন না অভিনিবেশ । বেশ কয়েকবার তাদের মেয়েকে নিচু জাতের বলে অপমান করে তিনি । উল্লেখ্য , গত কয়েক দিন আগেই এই অভিনিবেশ রায় দলের কাজ কর্ম থেকে অব্যাহতি নেন তৃনমুলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে মেসেজ লিখে ।
সোহিনীর পরিবারের লোক দোষীর গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান দুবরাজপুর থানায় । মৃত সোহিনী সূত্রধরের পিতা গজনন সুত্রধর বলেন , " হঠাৎ করে সোহিনীর বান্ধবী এসে আমায় মেয়ের ঘরের দরজা খোলাতে বলে । আমি তাকে বলি সোহিনী তো ঘুমোচ্ছে । কিন্তু তার বান্ধবী আগে থেকেই এই ঘটনার আশঙ্কা করে । ওই অভিনিবেশ রায় হয়তো আমার মেয়ের বান্ধবীকে ফোন করে , তার জন্যই সে ছুটে আসে আমাদের বাড়িতে। তারপরই এমন ঘটনা ঘটে। আমি এই অভিনিবেশ রায়ের বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ করি । আমি চাই আমার মেয়েকে যে মেরেছে তার যেন শাস্তি হয় । "
সোহিনীর দিদি অঙ্কনা সূত্রধর বলেন , "আমার বোনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিনিবেশ রায়ের । এক বছর আগে বোনের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করেও সে । আমার বোনের মৃত্যুর পিছনে ওরই হাত আছে । আমি অভিনিবেশ এর শাস্তি চাই ।" এই অভিযোগের পরই দুবরাজপুরের হেতমপুরের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অভিনিবেশ রায়কে গ্রেফতার করেন দুবরাজপুর থানার পুলিশ । আজ তাকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। দুবরাজপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্র প্রসাদ দে জানান ," গজানন সূত্রধর দুবরাজপুর থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশ তার ৩০৬ ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনে মামলা রুজু করে তাঁরা তদন্ত শুরু করেন এবং অভিযুক্ত অভিনিবেশ রায়কে গ্রেফতার করে আদালতে তোলেন । আদালত অভিযুক্ত অভিনিবেশ রায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । "