দলের লক্ষ্য অন্তত ১ লক্ষ লোক দিয়ে কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজের মাঠ ভরানো। তবে ওই সভায় আমন্ত্রিত নন কাঁথিরই সাংসদ শিশির অধিকারী। দলের তরফে ডাক পাননি শিশির-পুত্র তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুও।
এ নিয়ে প্রশ্ন করতে রাখঢাক না করে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "এটা বিয়েবাড়ির আমন্ত্রণ নয়। যারা তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে ভোট চেয়েছেন, যারা জোড়া ফুলের প্রতীকে জিতেছেন তাদের রাজনৈতিক কৃতজ্ঞতা থাকলে এই সভায় যোগ দেওয়া উচিত।"
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার আগেই ভগবানপুরে বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূল নেতার বাড়ি, মৃত ৩
অভিষেকের সভাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শিশির-দিব্যেন্দুর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’। সেখানে অবশ্য সভার দিন যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে জেলা প্রশাসন।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে কাঁথি থেকেই অধিকারী পরিবারকে নিশানা করেছিলেন অভিষেক। গত ১বছরে বারবার একে অন্যকে বিঁধেছেন তাঁরা। আর ততই তৃণমূল থেকে দূরত্ব বেড়েছে শিশির এবং দিব্যেন্দুর। এমন কি, বিজেপির সভায় উপস্থিত থাকার পর শিশিরের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনকে হাতিয়ার করে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু পাড়ায় আজ কোন ইস্যুতে আক্রমণ অভিষেকের? কাঁথিতে চর্চা তুঙ্গে
তবে ক’দিন আগে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’-এর পর বরফ গলার সম্ভাবনা দেখছিলেন অনেকে। তবে সৌজন্য আর রাজনীতির লড়াই যে এক নয় তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই তরফেই। পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বে থাকা নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক সৌজন্য দেখাবে। আমরা সভা থেকে দলের কথা বলব। তবে এটা তো রাজনৈতিক সভা। তাই বিরোধী দলনেতার নানা কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার প্রতিবাদ তো থাকবেই।
তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের কটাক্ষ, ‘‘বিধানসভা নির্বাচন থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সমস্ত জায়গায় দলের দুই সাংসদ দলের বিরোধিতাই করে গিয়েছেন। তাই এই সভায় আর সৌজন্য দেখিয়ে দুই সাংসদকে আমন্ত্রণ জানাব না।”