যতদিন পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি থাকবে এবং বৃষ্টিপাত হবে, ততদিন আপাতত ব্যারেজ পুনর্বাসনের কাজ চলবে। তারপরে করা হবে সংস্কারের কাজ। এই মুহূর্তে সেখানে যান চলাচল একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে বড় গাড়ি চলাচলের জন্য নিষেধাজ্ঞা করা হয়। তারপরে ফাটল বেড়ে যাবার কারণে ছোট চরচাকা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাইক ও পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : সপ্তাহান্তের লম্বা ছুটিতে শান্তিনিকেতনে যাচ্ছেন? জেনে নিন পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ নিয়ে
এই তিলপাড়া ব্যারেজের আপার ও ডাউন স্ট্রিমে অনেক বালিঘাট রয়েছে। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, বালিঘাটগুলি থেকে লাগামছাড়া ভাবে বালি তোলার জন্য ব্রিজের তলার অংশ অনেকটাই সরে গিয়েছে। সেই কারণে ব্রিজের ডাউন স্ট্রিম অর্থাৎ নিচের অংশ ভেঙে গিয়েছে। আর এই ডাউন স্ট্রিমের জন্য যে ওয়াটার ডিভাইডার রয়েছে, তাতে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন : তিলপাড়া জলাধার সংস্কারে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় জল কমিশনের! কবে খুলবে রাস্তা?
পাশাপাশি ছোট ছোট ওয়াটার ডিভাইডারগুলি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে। বীরভূমের সিউড়ির তিলপাড়া ব্যারেজের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করেন রাজ্যের সেচ দফতরের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। কিন্তু এখন প্রশ্ন, তিলপাড়া ব্যারেজের রাস্তা তো গাড়ি, পণ্যবাহী গাড়ির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে কোন রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করছেন মানুষজন? কতটা রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে তাঁদের? বিকল্প হিসেবে কোন রাস্তা রয়েছে?
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মূলত, রামপুরহাট থেকে যাঁরা সিউড়ি যাচ্ছেন, তাদের যেতে হচ্ছে ঘুরপথে। অনেকে বাস ধরে মল্লারপুর, সাঁইথিয়া নতুন ব্রিজ হয়ে তারপরে সিউড়ি যাচ্ছেন। আবার অন্যদিকে রামপুরহাট থেকে বাস পৌঁছে যাচ্ছে তিলপাড়া ব্যারেজের এপারে। ব্যারেজের এপারে নেমে পায়ে হেঁটে ওপারে পৌঁছে তারপরে ওপার থেকে আবার টোটো কিংবা বাসে করে পৌঁছে যাচ্ছেন সিউড়ি। পাশাপাশি রামপুরহাট থেকে সিউড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেনও রয়েছে। কিন্তু ট্রেনের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি। ফলে রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব এই রুটে খুব ভাল বলা যায় না। স্বাভাবিকভাবেই রাস্তা বন্ধের কারণে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।