আরও পড়ুন: পোলট্রি ফার্মে বিধ্বংসী আগুন, ভষ্মীভূত তিন হাজার মুরগি! মাথায় হাত মালিকের
এবার রাতের ঘুম উড়েছে দেউলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের। এক মৎস্যজীবী প্রথমে বাঘটিকে দেখতে পায়। তিনি গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানান। এলাকায় বাঘের ছাপও দেখা গিয়েছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও বনদফতরের। খবর পেয়েই জাল ও খাঁচা নিয়ে গ্রামে আসে বনদফতরের কর্মীরা। খুব প্রয়োজন ছাড়া গ্রামবাসীদের বাড়িতে থেকে বেরতে নিষেধ করেছে পুলিশ।স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় মাতলা ও মাকড়ি নদীর সংযোগস্থল দিয়ে একটি বাঘকে লোকালয়ে ঢুকতে দেখেন এক মৎস্যজীবী। তাঁর কাছ বাঘের কথা শোনার পর ভীত গ্রামবাসীরা খবর দেন পুলিশ এবং বন দফতরকে। রাতেই ঘটনাস্থলে যান বন দফতরের কর্মীরা। গিয়েছিল পুলিশও। রবিবার সকাল থেকে খোঁজ চলছে বাঘের। তবে এখনও দেখা মেলেনি।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার অনলাইনেই কাম তামাম! আবদেনের এক সপ্তাহের মধ্যেই মিলবে পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট
প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার কুলতুলির দেউলবাড়ি গ্রামে বাঘের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। লোকালয়ে একটি বাঘ ঢুকে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার পর রাত থেকে অভিযান চলছে বন দফতর এবং পুলিশের। বাঘ ধরতে রাতেই খাঁচা বসানো হয়েছে। কিন্তু এখনও খাঁচাবন্দি হয়নি বাঘ। অন্য দিকে, এলাকার মানুষ ভীত এবং সন্ত্রস্ত। বাঘ যাতে লোকালয় অথবা লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে যেতে না পারে, সে জন্য জাল দিয়ে কয়েকটি জায়গা ঘেরার কাজ শুরু হয়েছে।বন বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় বাঘ ঢুকে পড়েছে বলে খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পৌঁছান তাঁরা। বনদফতর ও কুলতলি থানার পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘ কোন দিকে গিয়েছে তার সন্ধানও করেন। বাঘ ধরতে রাতেই খাঁচা বসানো হয়। যদিও রবিবার সকাল পর্যন্ত সেই বাঘের দেখা পাওয়া যায়নি।আধিকারিকরা জানিয়েছেন রবিবার সকাল থেকে বাঘের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বাঘ যাতে লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে আসতে না পারে তার জন্য জাল দিয়ে ঘেরার কাজ করা হবে।
এদিকে, বাড়ির পাশেই বাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানার পরেই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের। সকালেও তাঁদের চোখে-মুখে আতঙ্ক। তবে এখন একা, বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে কেউ যাতে বাড়ির বাইরে না যান সেই বিষয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করছেন পুলিশ এবং বন বিভাগের কর্মীরা।
সুমন সাহা