শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লালবাগ ওয়াসিম খান জানান, শুট আউটের সময় প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল সামিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইনল্লাল শেখের নাম উঠে আসে। এরপর ডোমকল থানার পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। লালবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয় ইনল্লাল শেখকে। তারপর তাকে জেরা করে বহরমপুর থেকে মাসাদুল শেখ ও কায়েস শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা প্রত্যেকেই সমিরুদ্দিন শেখকে গুলি করার কথা স্বীকার করেছে।
advertisement
আরও পডুন: বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিয়ে সরগরম দেশ! 'বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে ভারতে', বললেন মোদি
পুলিশ সূত্রের খবর, পূর্ব শত্রুতার জেরেই খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল ডোমকলের সমিরুদ্দিনকে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে প্রকৃত তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধে নাগাদ তিন বন্ধুর সঙ্গে রাস্তার পাশের কালভার্টে বসেছিলেন ডোমকলের বাসিন্দা সমিরুদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তি। সেই সময় একটি স্কুটিতে করে এসে আচমকাই তাঁর উপরে গুলি চালায় দুই। তারপর চম্পট দেয় এলাকা থেকে। ঘটনার আকস্মিকতায় ঘাবড়ে যান সমিরুদ্দিনের পাশে বসে থাকা দুজন।
আরও পড়ুন - Indus Water Treaty: সিন্ধু নদের জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তান ঘোঁট পাকাচ্ছে, পরিবর্তন করতে চায় ভারত
স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সমিরুদ্দিনকে উদ্ধার করে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় আহত সমিরুদ্দিনকে।
তবে পরিবারের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা অন্যজনকে গুলি করতে গিয়েছিল, কিন্তু সেই গুলি সমিরুদ্দিন পেটে লেগে যায়। আহতের আত্মীয় সাইফুল ইসলাম বলেন, "সমিরুদ্দিনের কোনো শত্রু ছিল না। অন্যজনকে গুলি করতে গিয়েছিল ওরা, সমিরুদ্দিনের গুলি লেগে গেছে।"