আর এই মন্দির থেকে মাত্র এক মিনিট দূরে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে বাঁকারায়ের অন্তর্ধান স্থল জানুকুন্ডু হাঁটুগাড়া আশ্রম। আর তার পাশেই একটি পুকুরের মধ্যস্থলে রয়েছে মন্দিরের চূড়া। পুকুরের মধ্যে মন্দিরের চূড়া অবস্থিত হওয়ায় সেই মন্দিরটি আজ পর্যন্ত কেউ দেখতে পাননি। তবে তার চূড়ার কিছুটা অংশ সর্বদাই জলের উপরেই থাকে। এই মন্দিরকে ঘিরে নিত্যানন্দ প্রভুর কিছু গল্প লোকমুখে শোনা যায়। এই কুণ্ডে সপ্ত সগর ও সপ্ত নদী রয়েছে এমনটাই বিশ্বাস করেন অনেকে। আর এই কারণেই দূর দুরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা এই পবিত্র জল স্পর্শ করে ও মাথায় নিয়ে প্রণাম করেন,এর পাশাপাশি এই পুকুরে কয়েন ফেলে কিছু মনস্কামনা করলে সেই মনস্কামনা পূর্ণ হয় বলে বিশ্বাস ভক্তদের।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বিহার ভোট থেকে নজর ঘোরানোর কৌশল,’ রাহুল গান্ধির ভোটচুরির অভিযোগে প্রতিক্রিয়া বিজেপির
এছাড়াও পুকুরের মাঝখানের এই মন্দিরের চূড়াকে সবাই গুপ্ত বৃন্দাবন বলে থাকেন। এই পুকুরের গভীরতা প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ ফুট। যা একটি দশতলা বাড়ির সমান। এই মন্দিরের মধ্যে আদতে কী রয়েছে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ বলতে পারেন না। আর এই পুকুরটি প্রায় ৬০০ বছর পুরনো।কথিত আছে যতই জল বৃষ্টি কিংবা বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হোক না কেন এই মন্দিরের চূড়া কোনও দিন জলের তলায় ডুবে যায় না। যদিও এই বিষয়ে এক বিশেষজ্ঞ প্রবোধ কুমার রায় বলেন ” এই মন্দিরটি জলের অনেক গভীরে রয়েছে। তবে ঠিক কত গভীরে রয়েছে এই মন্দির এই বিষয়ে আজ পর্যন্ত কেও জানতে পারেননি, অথবা কোথায় শেষ এই মন্দিরের সেটাও কেও জানেন না, তবে মন্দিরটি প্রায় ৬০০-৭০০ বছরের বেশি পুরনো হতে পারে।”





