TRENDING:

Nadia News: দু'চোখের দৃষ্টি হারানোর পরেও অনায়াসেই সাইকেল সারাই করেন ৭০ বছরের এই বৃদ্ধ

Last Updated:

দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তিনি কেবল স্পর্শ এবং কর্মদক্ষতার ওপর নির্ভর করেই সারাই করে চলেছেন একের পর এক সাইকেল!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নদিয়া: এ যেন এক জীবন্ত বিশ্বকর্মা! অনেক দিন আগেই হারিয়েছেন মূল্যবান দুটি চোখ, কিন্তু তার পরেও আর পাঁচটি সাধারণ মেকানিকের মতই সুনিপুণ দক্ষতার সঙ্গে সাইকেলের যাবতীয় সবকিছুই সারাই করে আসছেন শান্তিপুরের এই সাইকেল মেকানিক কৃষ্ণধন সরকার।
advertisement

নদিয়ার শান্তিপুর বাথানগাছি বাজার সংলগ্ন মধ্যপাড়ায়। ১০০% দৃষ্টিহীনতার প্রতিবন্ধকতা নিয়েই নিয়মিত প্রায় দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সাইকেল সারানোর মত সূক্ষ্ম বিষয়ে মেকানিক হিসেবে স্বনামধন্য তিনি। সময় কিঞ্চিৎ বেশি লাগলেও আজও ভালকাজের জন্য তার দোকানে প্রতীক্ষায় থাকেন ভ্যান কিংবা রিক্সা অথবা সাইকেল চালকরা । চারিদিকে টোটোর বারবারন্ত হলেও গ্রামাঞ্চলে এখনও এ ধরনের যানবাহন নেহাত খুব কম নয়!

advertisement

আরও পড়ুন- অফিসারের হবু স্ত্রীর বুকে লাথি! জেলে ঢুকিয়ে যৌন হেনস্থা, অশ্লীল আচরণের অভিযোগ! 

দোকানের উপর নির্ভর করেই সংসার চলে তার। পরিবারের রয়েছেন ৭৫ শতাংশ দৃষ্টিহীন এক স্ত্রী, টোটো চালানো একমাত্র পুত্র এবং পুত্রবধূ ও নাতি। উপার্জন বলতে তিনি এবং তার ছেলে, সামান্য যা কিছু উপার্জন করেন তাই দিয়ে কোন রকমে চলে সংসার।

advertisement

View More

তবে বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার জন্য পরিবারে মানবিক ভাতা এক হাজার টাকা করে পান দুজনে। সেই কারণেই দৃষ্টিহীনতার প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আজও পেটের দায় এবং অভ্যাসের বসেই দক্ষতার সঙ্গে সাইকেল সারিয়ে যাচ্ছেন তিনি সকলের।

আরও পড়ুন- পুজোয় এবার ভিলেন বৃষ্টি! নিম্নচাপ ঘনাচ্ছে অক্টোবরের শুরুতেই…দেখে নিন বড় আপডেট

দুই চাকার উপর লোহার ফ্রেম বসানো সাইকেলে থাকে নানান সূক্ষ্ম কল কব্জা। সাইকেলের একাধিক সমস্যা যা কিনা অনেক অভিজ্ঞ মিস্ত্রিরাও সারাই করতে পারেন না। তবে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তিনি তার আঙুলের স্পর্শেই এবং কর্মদক্ষতার ওপর নির্ভর করেই সারাই করে চলেছেন একের পর এক সাইকেল। অন্যান্য মেকানিক্যাল থেকে একটু সময় বেশি লাগলেওসাইকেল আরোহীরা তার কাছেই আসতে পছন্দ করেন, কারণ তারা জানাচ্ছেন তিনি কাজ করেন অত্যন্ত ধীরে সুস্থে। যার ফলে সাইকেলের সমস্যার সমাধান হয় চিরস্থায়ী।

advertisement

সাইকেলের বল বিয়ারিং, চাকার টাল ভাঙা, এছাড়াও সাইকেলের চাকার পাংচার সারানো ইত্যাদি সূক্ষ্ম এবং দক্ষ কাজ সুনিপুণভাবেই দৃষ্টি না থাকা সত্ত্বেও তিনি করে থাকেন অনায়াসেই। আর সেই কারণেই অনেকেই তাকে বলে থাকেন স্বয়ং বিশ্বকর্মার অবতার।

একমাত্র পুত্র, সৌমিত্র বলে দোকান ঘর খোলা বন্ধ থেকে শুরু করে বাবার আলমারিতে বিভিন্ন ছোট ছোট সাইকেলের পার্টস পত্র সবকিছু তার নখদর্পনে অনেক সময় আমরা তা খুঁজে পাইনা কিন্তু তিনি অনায়াসেই খুঁজে পান।

advertisement

এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মানষ ঘোষ জানাচ্ছেন, আগে দোকান ছিল বর্তমানে জাতীয় সড়কের পাশে তবে সম্প্রসারিত হওয়ার কারণে সে দোকান ভাঙা পড়ে তাই বাড়িতেই দোকান দিয়েছেন, পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে আমরা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে একই বাড়িতে স্বামী স্ত্রী দুজন বিশেষভাবে সক্ষমকে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং একটি আইসিডিএস এর কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

মৈনাক দেবনাথ 

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nadia News: দু'চোখের দৃষ্টি হারানোর পরেও অনায়াসেই সাইকেল সারাই করেন ৭০ বছরের এই বৃদ্ধ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল