TRENDING:

West Bengal news: তমলুকের সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো ইতিহাস অবাক করার মতোই

Last Updated:

West Bengal news: প্রাচীন বনেদী বাড়ির দুর্গাপুজো হিসাবে তমলুকের অন্যতম উল্লেখ্য কেলোমাল গ্রামের সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো। এই দুর্গাপুজো সাংসদ মালা রায়ের বাবার বাড়ির দুর্গাপুজো।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তমলুক, সৈকত শী: দুর্গাপুজোর কথা উঠলেই পাশাপাশি চলে আসে বারোয়ারী পুজো ও প্রাচীন বনেদী বাড়ির পুজোর কথা। এককালের জাঁকজমকপূর্ণ প্রাচীন বনেদী বাড়ির পুজোগুলিতে জৌলুস কমেছে, কমেছে আড়ম্বর। কিন্তু প্রাণের আবেগ এখনও শতাব্দীর পর শতাব্দী সঞ্চারিত হচ্ছে। প্রাচীন বনেদী বাড়ির দুর্গাপুজো হিসাবে তমলুকের অন্যতম উল্লেখ্য কেলোমাল গ্রামের সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো। এই দুর্গাপুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল মহালয়ার পরের দিন থেকে ঘট স্থাপন করে পুজো শুরু হয়। এই দুর্গাপুজো আরও এক কারণে বিখ্যাত। এই দুর্গাপুজো সাংসদ মালা রায়ের বাবার বাড়ির দুর্গাপুজো।
advertisement

আরও পড়ুন: বুকে-পেটে গভীর ক্ষত! দশমীর সকালে রাস্তার ধারে পড়ে তরুণীর দেহ, দেখুন ভিডিও

তমলুকের বনেদী বাড়ির পুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম হল সরকার বাড়ির পুজো। প্রায় ৪০০বছর আগে জগৎ বল্লব সরকার এই পুজোর প্রচলন করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত পুজো চলে আসছে। এই পুজো শুরু হয় প্রতিপদ থেকেই রীতি নীতি মেনেই এই পুজো হয়ে আসছে। ১৯৪৩ সালে তামলুকের সরকার বাড়িতে বলি বন্ধ হয়। তমলুক শহরের ঐতিহ্যমণ্ডিত বনেদি বাড়ির পুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম হল এই সরকার বাড়ির পুজো। প্রতি বছরই এই পুজোর শত ব্যাস্ততা থাকা সত্ত্বেও সাংসদ মালা রায় অষ্টমীর দিন সকাল থেকেই তমলুকে কেলোমালে সরকার বাড়িতে পরিবার সমেত হাজির হন। এবং থাকেন একাদশী পর্যন্ত। সরকার বাড়ির দুর্গাপুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল। এখানে দেবী মাকে ভোগ দেওয়া হয় না। দেওয়া হয় নৈবেদ্য। তেপায়ার ওপর নৈবেদ্য সাজিয়ে মাকে পুজো করা হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে অশ্লী*ল ভিডিও দেখিয়ে অনুকরণ করতে বাধ্য করত স্বামী! সইতে না পেরে প্রতিশোধ যুবতীর

এই পুজোয় কুমারী পুজো হয় না। এছাড়াও অন্য এক বৈশিষ্ট্য হল সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত যজ্ঞের হোমের আগুন জ্বলতে থাকে। নবমী মহাযজ্ঞের পর হোমের আগুন বন্ধ হয়। এই দুর্গাপুজার বিষয়ে পরিবারের বর্তমান কর্তা পার্থসারথি সরকার জানান, ”তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ির খাজাঞ্চি দায়িত্বে ছিল সরকার পরিবার। উপাধি পায় কারকুন। প্রায় ৪০০ বছর আগে জগৎবল্লভ সরকার এই পুজোর প্রচলন করেন। পুজো শুরু হয় প্রতিপদ থেকে। এই পুজোয় কখনও কুমারী পুজো হয় না। পুজোয় ১৯৪৩ সাল থেকে বন্ধ ছাগ বলি। প্রাচীন রীতিনীতি অনুসারেই বর্তমানে পুজো হয়ে আসছে।”

advertisement

তমলুকে কেলোমাল গ্রামের সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো রাজনীতিবিদ নির্বেদ রায়ের শ্বশুরবাড়ি বা সাংসদ মালা রায়ের বাবার বাড়ির দুর্গাপুজো হিসেবে পরিচিত। সরকার পরিবারের মেয়ে মালা রায় শত ব্যস্ততার মধ্যেও সপ্তমীর রাতে কিংবা অষ্টমীর সকাল সকাল কলকাতা থেকে এখানে উপস্থিত হন। একাদশী পর্যন্ত থাকেন পরিবারের এই দুর্গাপুজোয়। তমলুকের কেলোমালে সরকারবাড়ির এই দুর্গাপুজো অন্যতম প্রাচীন দুর্গাপুজো হিসেবে সাধারণ মানুষের মনে ভক্তি শ্রদ্ধায় বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Bengal news: তমলুকের সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো ইতিহাস অবাক করার মতোই
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল