পরিবেশ কর্মীদের কথায়, প্রায় সারা বছর বন্যপ্রাণীদের মৃত্যু মিছিল লেগে রয়েছে। তা গভীর চিন্তার কারণ। এই মৃত্যু মিছিল ঠেকানোর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সেভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে আগামী দিন যে মারাত্মক ভয়ংকর, তা প্রায় নিশ্চিত। এবার বাগনানে জাতীয় সড়কের পাশে একটি বনবিড়ালের ছানা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সাধারন বিড়াল ছানা নয়। তা বুঝতে পেরে প্রাণ বাঁচাতে, স্থানীয়রা রাস্তা থেকে ছানাটিকে তুলে নিয়ে খবর দেন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামাণিককে। কিছুক্ষণের মধ্যেই চিত্রক প্রামাণিক, সুমন্ত দাস ও রঘুনাথ মান্না ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বনবিড়ালের ছানাটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগের সাহায্যে রাতেই পুনরায় তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যেখান থেকে বনবিড়ালটি উদ্ধার হয়। দিন কয়কে আগে ওই একই জায়গায় জাতীয় সড়কের পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত একটি মেছো বিড়াল ও একটি বনবিড়াল মারা যায়।
advertisement
এইদিন সন্ধ্যায় বাগনান এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হিজলক ফ্রেন্ডস ক্লাবের সামনে রাস্তার পাশে একটি আহত রাজ্য প্রাণী মেছো বিড়াল পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। হিজলক ফ্রেন্ডস ক্লাবের সদস্য তন্ময় মল্লিক ও সুব্রত শাসমল খবর দেন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামানিককে। উদ্ধারে নামেন পরিবেশ কর্মীরা। সেই খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষ ওই স্থানে ভিড় করতে শুরু করে। ভিড় জমার কারণে প্রাণীটিকে উদ্ধার করতে সমস্যা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাগনান ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিকাশ চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় মানুষকে সহযোগিতার আবেদন করেন। রাতের অন্ধকারে প্রায় দু ঘন্টা চেষ্টার পর পরিবেশ কর্মী, বন বিভাগের কর্মী এবং স্থানীয় কিছু যুবক বাঘরোলটিকে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারের করে। উদ্ধারের পর বাঘরোলটি গড়চুমুক প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
এ প্রসঙ্গে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামানিক বলেন, যেভাবে জলাভূমি ও জঙ্গল ধ্বংস হচ্ছে রাজ্য প্রাণী মেছবিড়াল সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী বাসস্থানের ও খাবারের অভাবে পড়ছে। বাধ্য হয়ে ব্যস্ত রাস্তা উঠে আসছে। তাতেই গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ যাচ্ছে ওদের। হাওড়া জেলার জীববৈচিত্র্যে ভরপুর জলাভূমি ও নদীর তীরবর্তী জঙ্গল সংরক্ষণ করা ভীষণ জরুরি।
রাকেশ মাইতি