প্রসঙ্গত, সোমবার কৃষ্ণনগরে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক দেশরাজ সিং উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তার বাবা বর্তমানে এনডিআরএফ-এ কর্মরত। বাড়িতে রয়েছে বাবা, মা এবং বোন। বাবার কাজের জন্যেই দেশরাজ পরিবারের সঙ্গে গত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে বীজপুরের ধরমপুরে কলোনিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে।
advertisement
বাবা যেহেতু কেন্দ্র সরকারের কর্মী, সেই কারণে দেশরাজ ভর্তি হয় কাঁচরাপাড়ার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। ওই একই বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছিল কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়ার বাসিন্দা ঈশিতা মল্লিক। বিদ্যালয় থেকেই দেশরাজের সঙ্গে ঈশিতার বন্ধুত্ব হয়। তাদের মধ্যে প্রণয় গঠিত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলেও জানা যায় পরিবার সূত্রে।
সোমবার দিন খুনের ঘটনার পরেই দেশরাজের বাড়ি ও তার আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। বীজপুর ও জেঠিয়া থানার পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন- বাড়ির দোতলায় উঠে ছাত্রীকে গুলি! কৃষ্ণনগর-কাণ্ডে পুলিশের ‘অ্যাকশন’ শুরু! আতঙ্ক এলাকায়
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, দেশরাজ এবং তার পরিবার খুব একটা বেশি এলাকায় কারোর সঙ্গেই মিশত না। কিন্তু তাহলে কোথা থেকে খুন করার জন্য পিস্তল জোগাড় করল দেশরাজ, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যেহেতু উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন লোকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে, তাই উত্তরপ্রদেশের কোনও যোগাযোগ থেকেই দেশরাজ পিস্তল জোগাড় করেছে বলেও মনে করছেন অনেকেই।
খুন করার পর নিজের পুরনো বাড়ি উত্তরপ্রদেশেও দেশরাজের পালানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে যাওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।