জাতীয় সড়কের পাশে এই তিন তলা আবাসনটি অবস্থিত। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক প্রচেষ্টায় স্থানীয় মানুষজনেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে আতঙ্কে এলাকার ছাড়ে সাধারণ মানুষ। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল আবাসনে অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা উদাসীন বাড়ির মালিক-সহ ভাড়াটেরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার মিহিটিকিরি গ্রামে একটি বহুতলে এদিন রাত্রি আটটা নাগাদ আগুন লাগে। কোলাঘাট থানার উল্টোদিকে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে পাশেই অবস্থিত এই আবাসন।
advertisement
আরও পড়ুন- রবিবার সকাল থেকে দিনভর বৃষ্টিতে তোলপাড়? ধেয়ে আসবে কালবৈশাখী? কলকাতায় কেমন আবহাওয়া? জানুন
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ওই আবাসনের তিন তালায় ভাড়াটেরা বসবাস করেন। এদিন এক ভাড়াটে মহিলা রান্না করার সময় গ্যাস পাইপ লিক করে প্রথমে আগুন লাগে। তার পর গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তিন তলার পুরোটাতেই। আগুনের লেলিহান শিখা ক্রমশ বাড়তে থাকায় এলাকায় সৃষ্টি হয় আতঙ্কের পরিবেশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা পর কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে, আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
জানা যায়, দমকলের দুটি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ভাড়া বাড়ির তিনতলা পুরো আগুনে ভষ্মীভূত হয়েছে। এপ্রিলের শেষের দিকে কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে একটি হোটেলে। সেই অগ্নিসংযোগ এর ঘটনায় বেশ কয়েকজন ভাড়াটে মারা যান। তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। হোটেল ও ভাড়া বাড়িগুলিতে অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা নিয়ে চলে নজরদারি।
কোলাঘাটের এদিনের এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল, আবাসনে অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে কার্যত কোনও ভূমিকাই নেয়নি বাড়ির মালিক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিনের এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সৈকত শী