জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছেলের নাম ফেলা দাস। পেশায় অটোচালক। গভীর রাতে তাঁর মা অর্চনা দাস ঘরে শুয়ে ছিলেন। অভিযোগ, তখনই আচমকা ঘরে ঢুকে মায়ের মাথায় কুড়াল দিয়ে কোপ মারেন ফেলা। এরপরেও থেমে থাকেন নি অভিযুক্ত। তারপর বাড়ির বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর অটোতেও আগুন লাগিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন : বাথরুমে ছিলেন মহিলা, মোবাইল নিয়ে অন্য খেলায় মেতেছিল যুবক! গোপনে কী চলছিল জানেন?
advertisement
প্রথমে ঘটনার টের পান অভিযুক্তের বাবা। জানা গিয়েছে, ধোঁয়া এবং আগুনের গন্ধ টের পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় ফেলার বাবার। তিনি দ্রুত গিয়ে আগুন নেভানোর পর ঘরে ঢুকতেই দেখেন, স্ত্রী গুরুতর জখম অবস্থায় মেঝেতে কাতরাচ্ছেন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : এই মণ্ডপে ঢুকলেই টাইম ট্রাভেলে পৌঁছে যাবেন ত্রেতাযুগে! পরিবার নিয়ে চলে যান রামরাজ্যে
কিন্তু হঠাৎ করেই কেন এমন কতাজ করে বসলেন অভিযুক্ত ছেলে, তা কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ভারসাম্যের সমস্যা ছিল অভিযুক্তের। পরিবারের তরফ থেকেও দাবি করা হয়েছে, মানসিক অস্থিরতার কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনার পর গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।