প্রায় আড়াই বছর আগে তিনমাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে বাপের বাড়ি রেখে চলে আসে শিক্ষক দীপক কুমার দাস, বাড়ি বেলডাঙায়। বহরমপুর থানার একটি হাইস্কুলের শিক্ষক তিনি। স্ত্রী টুম্পা ঘোষ দাসের অভিযোগ তারপর থেকেই তার সাথে আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি। স্বামী দীপক দাস। প্রথম স্ত্রী আত্মহত্যা করার পর সম্বন্ধ করেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। এরপর তাদের একটি পুত্র সন্তানও হয়। কিন্তু নিজের পুত্রকেই অস্বীকার করেন দীপক দাস। এমনকি স্ত্রী ও ছেলেকে বাড়িতে ঢুকতে দেয় না। বাড়িতে ভাড়াটিয়া এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলেও অভিযোগ স্ত্রী টুম্পার।
advertisement
আরও পড়ুন: দেখা নেই পড়ুয়াদের! ক্লাসে ফেরাতে রাস্তায় মাইক হাতে নামলেন শিক্ষকরা
আরও পড়ুন: বিষ ছড়িয়ে মেরে ফেলা হচ্ছিল বক, পানকৌড়ি! দুই ব্যক্তির কাণ্ডে হইচই পূর্বস্থলীতে
স্ত্রী টুম্পা ঘোষ দাস বলেন, সেই গর্ভবতী অবস্থায় বাপের বাড়িতে রেখে চলে আসার পর আমার সাথে আর কোনও যোগাযোগ করেনি। আমার ছেলে হলেও দেখতে আসেনি। আমি অনেকবার ফোন করেছি কিন্তু ফোন ধরে না। ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে এসেছিলাম কিন্তু আমাদের ঢুকতে দেয়নি। বাপের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মা রয়েছে। চরম আর্থিক দুরাবস্থার মধ্যে ছেলেকে মানুষ করছি। আমি তার বিচার চাই। যদিও ওই শিক্ষক দীপক কুমার দাস তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারেননি। তিনি বলেন, নিশ্চয় কোনও কারন ছিল তার জন্য স্ত্রী ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যাইনি। আইনি পথেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও ওই শিক্ষক দীপক কুমার দাস তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারেননি।
Pranab Kumar Banerjee