হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
দেখা নেই পড়ুয়াদের! ক্লাসে ফেরাতে রাস্তায় মাইক হাতে নামলেন শিক্ষকরা

Latest Bengali news: দেখা নেই পড়ুয়াদের! ক্লাসে ফেরাতে রাস্তায় মাইক হাতে নামলেন শিক্ষকরা

দেখা নেই পড়ুয়াদের! ক্লাসে ফেরাতে রাস্তায় মাইক হাতে নামলেন শিক্ষকরা

দেখা নেই পড়ুয়াদের! ক্লাসে ফেরাতে রাস্তায় মাইক হাতে নামলেন শিক্ষকরা

Latest Bengali news: স্কুল সংলগ্ন এলাকায় মাইক সহযোগে অভিভাবকদের কাছে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানোর অনুরোধ করছেন প্রধান শিক্ষক স্বয়ং।

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: ক্লাস রুম ছেড়ে মাইক হাতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হলেন শিক্ষকরা। কেন? পড়ুয়ারাই যে স্কুলে গড়হাজির। পড়ানোর জন্য পড়ুয়াদের না পেয়ে তাদের স্কুলমুখী করতেই এই প্রচার বলে জানালেন শিক্ষকরা। পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) কাটোয়ার দাঁইহাটে ধরা পড়ল এমনই ছবি। স্কুল ছুট পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে মাইক নিয়ে পথে নামলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। স্কুল সংলগ্ন এলাকায় মাইক সহযোগে অভিভাবকদের কাছে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানোর অনুরোধ করছেন প্রধান শিক্ষক স্বয়ং। দাঁইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের এই অভিনব পরিকল্পনায় মাইক হাতে অন্যান্য শিক্ষকরাও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তায় নামেন। দাঁইহাট শহরের পাইকপাড়া, মজিদপাড়া-সহ বাজার এলাকায় প্রচার চালান তাঁরা।

শুধু প্রচারেই থেমে থাকা নয়, বাড়ির ভেতর ঢুকে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাইলেন পড়ুয়ারা স্কুলে যাচ্ছে না কেন। তাদের আগামিকাল থেকেই স্কুলে পাঠানোর পরামর্শ দেন শিক্ষকরা। তাঁদের মাইক হাতে প্রচার করতে দেখে খুশি বাসিন্দাদের অনেকেই। তাঁরা বলছেন, করোনা কালে মাঝপথে পড়া ছেড়েছে অনেকেই। এখন আবার স্কুলে যেতে চাইছে না অনেকে। কিন্তু তাদের শিক্ষার আঙিনায় ফিরিয়ে আনা বিশেষভাবে প্রয়োজন। তাই শিক্ষকদের এই ভূমিকা সময়োপযোগী ও প্রশংসার যোগ্য।

করোনা (Corona) আতঙ্ক কাটিয়ে দীর্ঘ কুড়ি মাস পর সরকারি নির্দেশে স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার খুবই কম। দশ দিন হয়ে গেলেও পড়ুয়ারা স্কুলে আসছে না। স্কুলে ছাত্র ফেরাতে প্রধান শিক্ষক মনোহর দাস এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচারের পরিকল্পনা করেন। সেই মতো সার্ধশতবর্ষ পার করা কাটোয়া মহকুমার দাঁইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের জনা দশেক শিক্ষক আজ দুপুর থেকে এলাকায় মাইক হাতে প্রচার শুরু করেন। দাঁইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা ১৪৯৫ জন। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়ার সংখ্যা ৮৫৬ জন। দশ দিন স্কুল খুললেও চারশ থেকে পাঁচশ পড়ুয়া স্কুলে আসছে না। পড়ুয়া কেন স্কুলে আসছে না এই চিন্তা থেকেই মাইকে প্রচারের ভাবনা আসে প্রধান শিক্ষকের মাথায়।

আরও পড়ুন- বিষ ছড়িয়ে মেরে ফেলা হচ্ছিল বক, পানকৌড়ি! দুই ব্যক্তির কাণ্ডে হইচই পূর্বস্থলীতে

মাইকে শিক্ষকরা অভিভাবকদের উদ্দেশে অনুরোধ করে বলেন, "আপনারা অবশ্যই ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠান।" কোভিড বিধি মেনে স্কুলে পাঠানোর আবেদনে এলাকার মানুষ খুশি। অনেকে অভিভাবক তাঁদের ছেলেদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন। আবার অনেক অভিভাবক জানেনই না যে, স্কুল খুলেছে। শিক্ষকদের মাইক প্রচারে জানতে পারলেন স্কুল খুলেছে। শুধু নিজেদের স্কুলের জন্য তাঁরা বলেননি। এলাকার গার্লস স্কুলের জন্যও ছাত্রীদের বাড়ি গিয়েও প্রচার করেন বয়েজ স্কুলের শিক্ষকগণ।

আরও পড়ুন- মরণোত্তর দেহদান দৃষ্টিহীন শিক্ষিকার, নজির গড়লেন নদিয়ার সুমিতা কর্মকার

প্রধান শিক্ষক মনোহর দাস বলেন, "১৬ নভেম্বর স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার অনেক কম। অনেক ছাত্র জানেনা স্কুল খুলেছে আবার অনেক অভিভাবক তাঁদের ছেলেদের করোনার কারণে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। সেই ভয় কাটাতে আমরা শিক্ষকরা মিলে এলাকায় প্রচার শুরু করেছি।" শিক্ষক স্বপন ঠাকুর বলেন, "প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে স্কুল ছুটদের স্কুলে ফেরাতে আমরা মাইক নিয়ে এলাকায় প্রচারে নেমেছি। শিক্ষকদের এই আন্তরিক আহ্বানে পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা সকলেই খুশি।"

শরদিন্দু ঘোষ 

Published by:Swaralipi Dasgupta
First published:

Tags: Bardhaman, West bengal