বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা বিপুল ওঝা পেশায় চা বিক্রেতা। স্থানীয় মরণোত্তরচক্ষুদানের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করা বীরভূম ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দুবরাজপুর শাখার সদস্যরা তাঁর চায়ের দোকানে বসেই আলোচনা করেন চক্ষুদানের অঙ্গীকারের বিষয়ে। চক্ষুদানের উপকারিতা, প্রয়োজনীয়তা এমনই নানান বিষয়ে আলোচনা হতে থাকে সেখানে। আর সেই আলোচনা থেকেই সব শুনতে থাকেন ওই চা বিক্রেতা বিপুল।
advertisement
সব শুনে তিনি কথা বলেন সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে। ইচ্ছে প্রকাশ করেন নিজের মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকারের। এরপরই বেশ কয়েক দিন পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সব নিয়ম কানুন জানায় ওই সংস্থার সদস্যরা। সব আলোচনা শোনার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন বিপুল বাবু নিজে ও তাঁর মা দুজনেই নতুন বছরে প্রথম দিনে সামাজিক কল্যাণে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করবেন।
আরও পড়ুন: শীতের সম্বল নিতে মানুষের সারি! বিধায়কের সামনেই যা ঘটল, প্রশ্ন উঠছে একাধিক
বীরভূম ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি প্রিয়নীল পাল বলেন , "এরকম করে সমস্ত স্তরের মানুষ যদি সাহসী এবং মহান কাজে এগিয়ে আসে, তাহলে এইসব কাজের ভবিষ্যত খুবই আশাপ্রদ। মরণোত্তর চক্ষুদানের প্রসার যত বাড়বে অন্ধত্ব আমাদের সমাজ থেকে তত দূরে সরে যাবে ।" সংস্থার স্থানীয় সদস্য রাজা গড়াই জানান, "আমরা বরাবর এই চায়ের দোকানে আড্ডা দিই। সেখানে নানা সামাজিক কাজ নিয়ে আলোচনা চলে। অনেক সময় বিপুল বাবু আমাদের উৎসাহিত করেন , আমরা ভাবতে পারিনি যে উনি এই কাজেও এগিয়ে আসবেন। সত্যিই এই কাজ দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে এবং তাঁরাও হয়তো বিপুল বাবুর মতো এগিয়ে আসবেন।"
আরও পড়ুন: ২৮ ডিসেম্বর ৩৮২, ১ জানুয়ারি ২৩৯৮! ৫ দিনে ৬ গুণ বৃদ্ধি কলকাতার কোভিড-গ্রাফে! কেন?
আর চা বিক্রেতা বিপুল ওঝা বলছেন, "আমার এই ছোট্ট দোকানে এই সংস্থার অনেকেই আসেন ও চা খেতে খেতে অনেক আলোচনা করেন । তবে এই অঙ্গ দানের কথা আমি আগে অনেকবারই শুনেছিলাম, তখন থেকেই ইচ্ছে হয়েছিল আমিও অঙ্গদান করব। তাই এই নতুন বছরে সিদ্ধান্ত নিলাম চক্ষুদানের। খুব ভালো লাগছে।"