নির্দিষ্ট সময় মেনে মন্দির খোলা, পুজোপাঠ, ভোগ ও আরতি করতে হবে।পালা বিক্রি করা যাবে না।আজ থেকেই নতুন এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে।সেইসঙ্গে মহকুমা প্রশাসন ও তারাপীঠ থানার পুলিশকে কড়া হাতে বেনিয়ম মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
বেশ কয়েকবছর ধরেই তারাপীঠ মন্দিরে চলছিল বিশৃঙ্খলা।মোটা টাকা দিলেই চটজলদি মিলছিল দেবীর দর্শন।এদিকে দূরদূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছিল।এই নিয়ে সেবাইতদের সঙ্গে পুণ্যার্থীদের মারামারিও হচ্ছিল।নানাভাবে পুণ্যার্থীদের হেনস্থা করার অভিযোগও উঠেছে।সম্প্রতি এমনই নানা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।যার জেরে তীর্থভূমির মর্যাদা নষ্ট হচ্ছিল।অন্যদিকে দেবীকে কার্যত নিলামে তোলা হচ্ছিল।সেবাইতরা মোটা টাকার বিনিময়ে পালা বিক্রি করে দিচ্ছিল।আর সেই টাকা তোলার জন্য বিভিন্ন স্ল্যাবের টাকার অঙ্কে লাইন করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ২৩ বছর ধরে এই মন্দিরে জ্বলছে প্রদীপ! কীভাবে সম্ভব? জানলে অবাক হবেন
এমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছিল যে, অধৈর্য হয়ে পুণ্যার্থীরা টাকা দিয়ে দেবীর দর্শন ও পুজো দিতে বাধ্য হচ্ছিলেন।শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট সময়ে মন্দির খোলা হচ্ছিল না।দেবীর ভোগ না হতেই মন্দির চত্বরে ভোগ খাওয়ানো শুরু হয়ে যাচ্ছিল।প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, যা এক ধরনের প্রতারণা। আরতিরও নির্দিষ্ট সময় ছিল না। সব মিলিয়ে চরম বিশঙ্খলা চলছিল। টিআরডিএর চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায়, এসডিও এবং এসডিপিওকে পাশে বসিয়ে জেলাশাসক স্পষ্ট বলেন, নানা অভিযোগ তাঁর কাছে এসেছে। এমনটা চলতে থাকলে ট্রাস্টি করে দেওয়া হবে।সূত্রের দাবি, বৈঠকে ঠিক হয়েছে,পালা বিক্রি করা যাবে না।পালাদারকে মন্দির কমিটি সহায়তা করবে।মায়ের ভোগের আগে ভোগ খাওয়ানো যাবে না।
লাইন মেনে পুজো দেওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।পরে ভিআইপি বা বিশেষ লাইনে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন।আরতিও নির্দিষ্ট সময়ে করতে হবে।পুণ্যার্থীদের অসুবিধে হয় এমন কোনও কাজ করা যাবে না।মোবাইল নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষিদ্ধ।পুজোর সামগ্রী দেবীর চরণে স্পর্শ করিয়ে বেরিয়ে যেতে হবে ভক্তদের।তাতে সহমত পোষণ করেছেন প্রবীণ সেবাইত থেকে মন্দির কমিটি।সাধারণ লাইনে যাঁরা থাকবেন তাঁদের আগে, এরপর ভিআইপি এবং পরে বিভিন্ন প্রোটকলে যাঁরা থাকবেন তাঁরা প্রবেশ করবে।
সৌভিক রায়