বছরের এই একটিমাত্র দিনে মায়ের কোনও অন্ন ভোগ হয় না।কথিত রয়েছে, পাল রাজত্বের সময় শুক্লা চর্তুদশী তিথিতে জয়দত্ত সদাগর শ্মশানের শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় পঞ্চমুণ্ডির আসনের নিচ থেকে মায়ের শিলামূর্তি উদ্ধার করে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুজোর সূচনা করেন। আর ঠিক তখন থেকেই এই দিনটি তারা মায়ের আর্বিভাব তিথি হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।
advertisement
আরও পড়ুন: উইকএন্ডে শান্তিনিকেতনে যাচ্ছেন? বিশ্বভারতী ছাড়াও আর কী কী দেখবেন? রইল পর্যটনের অন্য আকর্ষণ
তাই, এইদিন খুব সকালে শুক্লা চর্তুদশী তিথিতে সূর্যোদয়ের পর তারা মা’কে গর্ভগৃহ থেকে বের করে বিশ্রাম মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। জীবিতকুণ্ড থেকে জল এনে মাকে স্নান করানোর পর রাজবেশে সাজানো হয়। এই বিশেষ দিনে দেবী তারাকে তাঁর ছোট বোন ঝাড়খণ্ডের মলুটির মা মৌলিক্ষার মন্দিরের দিকে মুখ করে বসানো হয় নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে।
যেহেতু আবির্ভাব তিথির এই দিন মা তারা কে কোন অন্নর ভোগ নিবেদন করা হয় না সেই কারণে এই বিশেষ দিনে তারাপীঠ এলাকার মানুষজন এবং সেবায়েতরা বাড়িতে কেউ দুপুরবেলায় অন্ন গ্রহণ করেন না। সারাদিন বিশ্রাম মঞ্চে মা তারার পুজো হওয়ার পর সন্ধ্যা বেলায় আবার স্নান করিয়ে মাকে মূল গর্ভগৃহে প্রবেশ করানো হবে।
তারপরে রাজরাজেশ্বরী বেশে সাজিয়ে মা তারাকে লক্ষ্মী রূপে পুজো করা হবে। এবং তারপর রাত্রে মা তারা কে খিচুড়ি,পোলাও, ফ্রায়েড রাইস, পাঁঠার মাংস, মাছ, বিভিন্ন রকমারি তরকারি মিষ্টি পায়েস দই দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হবে। যেহেতু এই বিশেষ দিনে সাধারন মানুষের পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে সেই কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন মন্দির কমিটি। একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে তারাপীঠ মন্দির চত্বর জুড়ে।