তবে তারাপীঠে যারা আসেন তারা মূলত সরাসরি তারা মায়ের দর্শন করার সুযোগ পেলেও এই তারাপীঠ মন্দির এবং কৌশিকী অমাবস্যায় তা পাখির চোখে অর্থাৎ ড্রোন চিত্রের মাধ্যমে কেমন দেখায় তা হয়তো অনেকেই দেখার সুযোগ পান না। তবে এ বার এই সুযোগ হয়েছে। কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠের এই ড্রোন চিত্র ফুটে উঠেছে মূলত কৌশিকী অমাবস্যায় নিরাপত্তার জন্য যে সকল ড্রোনের ব্যবহার হয়েছিল তা থেকে। এই চিত্রতে তারাপীঠ মন্দির থেকে শুরু করে ওপর থেকে আগত পুণ্যার্থী এবং গোটা তারাপীঠ এলাকার চিত্র ফুটে উঠেছে। এক কথায় অভূতপূর্ব এই অদর্শনীয় চিত্র।
advertisement
আরও পড়ুনঃ 'ভোটের সময় তো হোটেলে অনেক কিছু হয়েছিল', বিজেপির বৈঠক নিয়ে বিস্ফোরক মমতা
করোনাকালে গত দু'বছর কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের অবাধ আগমনে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। তবে এ বছর সেই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ফলে প্রথম থেকে আশা করা হচ্ছিল পাঁচ থেকে আট লক্ষ পুণ্যার্থী সমাগম ঘটবে। যদিও অমাবস্যা কেটে যাওয়ার পর দেখা যায় প্রত্যাশা অনুযায়ী পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটেনি। পুণ্যার্থীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সমাগম না ঘটার কারণে সেভাবে লাভের মুখ দেখতে পাননি এলাকার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে গণপরিবহনের সঙ্গে যুক্তরা।
আরও পড়ুনঃ ভরদুপুরে কেঁপে উঠল শিলিগুড়ি-দার্জিলিং, আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে ছুটলেন বাসিন্দারা
প্রসঙ্গত, চলতি বছর বিপুলসংখ্যক পূর্ণ্যার্থীদের আগমনের আশা করার পরিপ্রেক্ষিতে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ এবং তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফ থেকে আগাম সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল পাঁচের বেশি ড্রোন, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ টাওয়ার, মেডিক্যাল টিম, ডুবুরি, প্রায় ৩৫০ বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী ও বীরভূম জেলা পুলিশের কয়েকশ পুলিশকর্মী। এ ছাড়াও আগত পুণ্যার্থীদের পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। তবে এত সকল ব্যবস্থা সত্ত্বেও প্রত্যাশিতভাবে পুণ্যার্থীদের আগমন না হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে করোনাভীতি, করোনা পরবর্তীতে মানুষের হাতে আর্থিক যোগানের সমস্যা ইত্যাদি।
Madhab Das