কেউ ডাক্তার, কেউ উচ্চপদস্থ অফিসার, কেউ আবার সংবাদ মহলে সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলছেন। চাকরি-সুত্রে সবাই একই শহরে থাকেন। কেউ থাকেন কাতারে, আবার কেউ থাকেন ভিন রাজ্যে। কর্মসূত্রে যে যার নিজের কাজের জায়গায় থাকেন। বছরে তিন-চারবার মিলিত হয়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবার ৩৪ বছর আগেকার পুরানো বন্ধুত্বের সম্পর্ক ফিরে পেতে জুলাইয়ে রূপনারায়ন নদীর পাড়ে ইলিশ উৎসবে শামিল হলেন। এপার বাংলায় সেইভাবে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিয়ে এসে উদযাপন করা হল এই ইলিশ উৎসব।
advertisement
আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ!
খুশি মনে ইলিশ উৎসবে মাতলেন তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলের ১৯৯০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। প্রায় ৫-৭ ধরনের ইলিশের পদ রান্না করা হয়। মরশুমের প্রথমে এই ধরনের ইলিশ উৎসব যা সকলকে খুবই আনন্দ দিয়েছে বলে জানান উপস্থিত প্রাক্তন ছাত্ররা। ১৯৯০ সালের ব্যাচের এক সদস্য সৌমেন মাইতি জানান, বয়স ৫০ ছুঁয়েছে। সবাই আমরা নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু তারই ফাঁকে স্কুলে গড়ে ওঠা সেই বন্ধুত্ব এখনও আমাদের মধ্যে অমলিন। এই বন্ধুত্ব আগামী ৫০ বছরেও থাকবে।
ইলিশ ভাজা, ইলিশ ভাপা, ইলিশ সরষে, ইলিশের টক, পুঁইশাক ইলিশ সব মিলিয়ে খাদ্য রসিক বাঙালির পছন্দের বিভিন্ন ইলিশের পদ নিয়ে ইলিশ উৎসবে মেতে উঠেছে অতীতের ছাত্ররা। আগামী দিন আরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেতে উঠবে তমলুক হ্যামিলটন হাইস্কুলের নাইনটিন ব্যাচের ছাত্ররা।
সৈকত শী