চিনিকে জলের সঙ্গে ফুটিয়ে তৈরি হয় চিনির গাঢ় মিশ্রণ। চিনির মিশ্রণে দেওয়া হয় মাত্র দুই চা চামচ লেবুর রস। তারপর আঁচ থেকে নামিয়ে চিনির রস একটি লম্বা পাত্রের মধ্যে ঢালা হয়। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে এলে একটি মন্ড আকারে পরিণত হয়। তারপর ওই মন্ডটি বারবার সুতোর মতটানাটানি করে ধবধবে সাদা করা হয়। সম্পূর্ণ সাদা হয়ে গেলে। একটি পটাতনের উপর ফেলে ৩২ টি ভাঁজ করা হয় পুরো মন্ডটিকে। তারপর সেখান থেকেই নানা সাইজের কদমা তৈরি করা হয়। এমনকি টেনিস বলের আকৃতির মত থেকে শুরু করে কদমা ফুটবল সাইজের হয়ে থাকে।
advertisement
কদমা তৈরির কারিগর জানান, চিনির মিশ্রণটি গাঢ় না হলে কদমা তৈরি করা যায় না। ৪৬৩ বছরের প্রাচীণ ময়নার রাসমেলার কদমা মিষ্টি খুব জনপ্রিয়। প্রতিবছর রাসের সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি অন্যান্য জেলার লোকজন মূলত কদমা মিষ্টির টানে ময়নার রাসমেলায় ভিড় করে। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে রাসমেলা। এখন থেকেই দোকান বাঁধার তোড়জোড় বিভিন্ন দোকানদারদের। ইতিমধ্যেই ময়নার রাস মেলায় বিভিন্ন মিষ্টি দোকানদারদের ব্যস্ততা কদমা তৈরি করতে। এক এক দোকানে চার পাঁচ জন করে দক্ষ কারিগর তৈরি করছে রাস মেলার জনপ্রিয় মিষ্টি কদমা।
ময়নার রাস মেলার অন্যতম আকর্ষণ থালার মত বড় বড় বাতাসা ও ফুটবলের মতো কদমা মিষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন ও বৃহত্তম রাস মেলা শুধু ময়নাবাসী নয়, জেলার অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুরের লোকেরাও সারা বছরের এইকটা দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন মেলা ময়নাগড়ের রাস মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে।
সৈকত শী