রাজ্য সরকার তথা শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘ সভা করার ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতির পরেও এখানকার দলদাস প্রশাসনের মহকুমাশাসক সভাতে মাইক ব্যবহারের জন্য সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত অনুমতি দিয়েছিল। আমরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেই অনুমতি মিলেছে। এই তো প্রশাসনের অবস্থা। আদালতের নির্দেশের পরও কোথায় ফাঁক আছে তা খোঁজার চেষ্টা করা হয়। এদের পরিণতি যা হবে, তা নিজেরাও জানে না।’’
advertisement
রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, ‘‘আমি এটাও বলে রাখছি, আগামী লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে দু’লক্ষেরও বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে জিতিয়ে নরেন্দ্র মোদিজিকে এই কেন্দ্র উপহার দেব।’’
বলা বাহুল্য, চলতি ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সভা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুভেন্দু-সহ গোটা অধিকারী পরিবারকে নিশানা করেই একের পর এক অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ৷ এদিনই অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে সভা করেছিলেন শুভেন্দুও। নিশানা করেন অভিষেককে। এবার সেই কাঁথি থেকেই অভিষেকের অভিযোগ এবং কটাক্ষের পাল্টা জবাব দেবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আজ, বুধবার কাঁথি রেল স্টেশন সংলগ্ন ময়দানে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে বিন্দুমাত্র জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি ৷ বিশেষত বিরোধী দলনেতার খাসতালুকে অভিষেকের তোলা অভিযোগের জবাব না দিলে জনমানসে ভুল বার্তা যেতে পারে বলেই মত গেরুয়া শিবিরের ৷ সেই কারণেই কার্যত পাল্টা সভার আয়োজন।মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।