রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বর্ধমান জেলা বিজেপির ডাকে এদিন বর্ধমান ২ নং ব্লকের স্বস্তিপল্লি ময়দানে প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সেই সভায় তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশে দশ কোটিরও বেশি মানুষকে ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই রাজ্যে এই যোজনার অন্তর্গত আবাস প্লাস আসার আগে চল্লিশ লক্ষ বাড়ি দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু সেই বাড়ি কি কেউ পেয়েছে? আসলে সেই বাড়ি পাওয়ার সুযোগ কারও কাছে নেই। আমি সোশাল মিডিয়ায় দেখেছি এই আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে সেখানে পার্টি অফিস গড়ে তোলা হয়েছে। এই চোর তৃণমূল কংগ্রেস দল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাড়ি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে । পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ এ সবকিছুরই জবাব দেবে, দাবি শুভেন্দুর।
advertisement
তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, চাকরির দোকান খুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সত্তরের বেশি বয়স অথচ তাঁর বান্ধবী হাঁটুর বয়সি। এই তো রাজ্যে শিক্ষার অবস্থা। আর ওদিকে কেষ্টও চলেছে তিহার জেলে। তাই কেউ আর ছাড় পাবেনা। ঠিক এই ভাষাতেই বর্ধমানের জনসভা থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত দুই তৃণমূল নেতাকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা একহাত নিলেন রাজ্যের শাসক দলকেও।
আরও পড়ুন: প্রবল ঠান্ডার মধ্যে কলকাতায় নতুন এই বিপদ, সতর্ক করছেন পরিবেশবিদরা
সেখানে তিনি বলেন, রাজ্যে দুর্নীতির তদন্তে দেখা গিয়েছে দোকান থেকে অনেকে চাকরি কিনেছেন। ওই দোকান ছিল পার্থর। এলাকায় নীতির কথা বলতেন। তাঁর লজ্জা নেই। সত্তরের বেশি বয়স। হাঁটুর নীচে বয়সি বাচ্চা মেয়ে বান্ধবী। কখনও অর্পিতা, কখনও মোনালিসা। এই নিয়ে তৃণমূল। তাদের কি পঞ্চায়েতে ভোট দেওয়া উচিত? এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলবে না। দরজা খুললেই টাকা। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে কম্পিটিশন চলছে। আমরা কাউকে ছাড়ব না।
আরও পড়ুন: পাশেই পড়ে পোশাক, বোতল, এগরায় যুবকের পরিণতিতে আঁতকে উঠল সকলে
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আক্রমণের পর দোর্দন্ডপ্রতাপ অনুব্রত মণ্ডলকেও একহাত নেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক । তাঁর কথায়, কেষ্ট মণ্ডল অনেক বড় নেতা ছিলেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং কেতুগ্রামে গুড় বাতাসা দেওয়ার কথা বলতেন। এই কেষ্ট মণ্ডলের নির্দেশে 2018 সালে বীরভূম জেলায় বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। সেইসঙ্গে মঙ্গলকোট-কেতুগ্রামে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। আজও ওইসব এলাকায় অনেক মানুষ মিথ্যে মামলায় জেলে আছেন। আজ সেই বীর কেষ্ট কোথায়? সেই বাঘকে তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। বাঘ যাবে তিহার জেলে । পুজোর দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে কচি পাঁঠার ঝোল, লুচি, মিষ্টি খাইয়েছেন । কিন্তু তিহার জেলে কেষ্ট কিছুই পাবে না।