কোথাও স্পাইক করা আগুনরঙা চুল, কোথাও আবার ডিজাইনের জাদুতে ফুটে উঠেছে নানা রূপকল্প। আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষই অংশ নিয়েছেন এই ব্যতিক্রমী শোভাযাত্রায়। তাঁদের দেখতে দুপুর থেকেই রাস্তার দু’ধারে ভিড় জমে যায় সিউড়িবাসীর। বামদেব ক্লাবের কালীপুজো এখন এক ঐতিহ্য। প্রায় ৪৫ বছর ধরে চলে আসছে এই পুজো ও বিসর্জনের আয়োজন। গত কয়েক বছর ধরে অভিনবভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন শোভাযাত্রা করে রীতিমতো সাড়া ফেলেছে তারা। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন : একপাল হাতির প্রাণ যেতে বসেছিল, আশঙ্কা ছিল বড় দুর্ঘটনার! দুই সতর্ক চালক রুখে দিলেন সব, এখন সকলের কাছে ‘হিরো’
শুধু সিউড়ি নয়, জেলার নানা প্রান্ত থেকে এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও মানুষ ভিড় করেছেন বামদেবের শোভাযাত্রা দেখতে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ফেসবুক ও ইউটিউবের কনটেন্ট ক্রিয়েটররাও দলে দলে ছুটে এসেছেন এই বিস্ময় ক্যামেরাবন্দি করতে। এদিন ক্লাবের শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করে তিলপাড়ার কাছে ময়ূরাক্ষী নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন সম্পন্ন হয়। নানা জায়গার ব্যান্ডপার্টি ও থিমভিত্তিক সাজে পুরো শহর যেন রঙে আলোয় ভরে ওঠে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ক্লাবের সদস্য সুশান্ত ঘোষ বলেন, “আমাদের মেইন আকর্ষণ হেয়ার স্টাইল। এই জন্যই মানুষ এত দূর থেকে আসে। গোটা বীরভূম এমনকি পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় বামদেবের প্রসেশনের নাম আছে। আমাদের ক্লাবের ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, দিদিরা সবাই মিলে এই উৎসব করি।” বাজেটের প্রসঙ্গ উঠতেই হাসতে হাসতে তিনি জানান, “আমাদের বাজেট কখনও কমে না, বাড়তেই থাকে! গত বছর যেখানে ৪ লাখ টাকা ছিল, এবছর শুধুমাত্র বিসর্জনের বাজেটই প্রায় ৫ লাখ টাকা। আমরা হিসাব করি মাকে নিরঞ্জন করার পর।”





