আরও পড়ুনঃ রাখা হয়েছে দেবী দূর্গার মূর্তি, বাণিজ্য সম্মেলনের আগে সেজে উঠছে কলকাতা
সুন্দরবনের জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় ১৮৬৮ সালে প্রথম জঙ্গলের মধ্য থেকে আবিষ্কৃত হয় এই জটার দেউল। এটি একটি জগমোহন বিশিষ্ট রেক দেউল। এই দেউল আবিষ্কারের পর থেকে এই দেউল কখন কীভাবে তৈরী করা হয় তা নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয় ইতিহাসবিদ ও প্রত্নত্বাত্বিকদের মধ্যে। অনেকে মনে করেন এই দেউল আনুমানিক ৯৭৫ খ্রীস্টাব্দে রাজা জয়ন্তচন্দ্র নির্মাণ করেন। তবে তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। জটার মন্দির হিন্দু মন্দির না বৌদ্ধ মন্দির তা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এই মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হলে দ্বাদশ শতাব্দী নাগাদ এই মন্দিরের সংস্কার করেন রাজা লহর চন্দ্র। তিনি ছিলেন শৈব। ফলে মন্দিরে শুরু হয় শিবপূজা।
advertisement
২০১১ সালে ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণের পক্ষ মন্দির চত্বরে শুরু হয় খনন কাজ। এরপর মাটির নীচ থেকে আবিষ্কার হয় কিছু ইটের কাঠামো। আবিষ্কার হয় কিছু পর্তুগিজ মুদ্রা, হাতির দাঁত সহ বেশ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী। সেই থেকে অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন পর্তুগিজ জলদস্যুরা এটি টাওয়ার হিসাবে ব্যবহার করত। তবে বিতর্ক যাই থাক সুন্দরবনের হাজার বছরের ঐতিহ্য বহণকারী এই দেউল আজও পর্যটকদের কাছে সমান আকর্ষণীয়। সেজন্য এবার শীতে আপনিও কলকাতার কাছে ঘুরে আসুন এই মন্দিরে।
নবাব মল্লিক