TRENDING:

Success Story: আত্মীয়দের থেকে টাকা ধার নিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা, এখন যুবকের রোজগার লক্ষাধিক টাকা !

Last Updated:

কাজ শুরু মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে, তাও আবার ধার করে। এখন প্রতিমাসে যুবকের রোজগার প্রায় লক্ষাধিক টাকা !

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পর কারোর অধীনে ক্যামেরার কাজ করা শুরু। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফি করাই ছিল তাঁর রোজগারের উৎস। তবে জীবনে নিজে কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে শুরু হয় তার ভাবনা। প্রথমে বাড়িতে এবং আত্মীয়দের থেকে টাকা ধার নিয়ে মাত্র ২০ হাজার টাকায় ক্যামেরা কিনে শুরু হয় তাঁর নিজের ব্যবসা। এরপর ধীরে ধীরে সেই ব্যবসা বেড়েছে। একাধিক দামি দামি ক্যামেরা কিনে ফটোগ্রাফি করেছেন। এককালে লোকের কাছে কাজ করা সেই যুবকই এখন হয়ে উঠেছে প্রায় ১৬-১৭ জন যুবকের ত্রাতা !
advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দা অভিষেক মাইতি। একদিকে যেমন নিজে আর্থিকভাবে বলবান হয়েছেন, তেমনই বেশ কয়েকজন যুবককে কাজও দিয়েছেন তিনি। তবে এখন ফটোগ্রাফি ছেড়ে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জায়েন্ট স্ক্রিনের কাজ করেন তিনি। প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন হয় তাঁর।

আরও পড়ুন– দেশভাগের সময় ভারতে পাড়ি, ছোট্ট ঠেলায় মিষ্টি বিক্রি করতে শুরু করেন দুই ভাই ! আজ তাঁদের সেই ছোট্ট ব্যবসাই ডালপালা মেলে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে মানুষকে

advertisement

লোকের অধীনে সামান্য দিনমজুরিতে ফটোগ্রাফি করতে যেতে হত এদিক ওদিক। তখন বয়সও ছিল অল্প। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই পরিবারের হাল ধরতে হয়েছিল তাঁকে। তবে এরপর নিজেকে বদলানো শুরু করেন তিনি। ধার নিয়ে মাত্র ২০ হাজার টাকায় কেনেন একটি ক্যামেরা। এরপর কখনও ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে আবার কখনও নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে ধার নিয়ে নিজের ব্যবসা বাড়িয়েছেন। বর্তমানে একসঙ্গে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ টি প্রোগ্রামে জায়েন্ট স্ক্রিন দেওয়ার ক্ষমতা রাখে সে। প্রতিদিনই তার কাছে কাজ করে একাধিক যুবক। নিজের পরিবারের পাশাপাশি তাদেরও সংসার সামলাচ্ছেন তিনি।

advertisement

আরও পড়ুন– তুতো ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম বিয়ে, এরপর মেয়ে-জামাইয়ের সামনেই দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই অভিনেত্রী ! সমাজের দিকে ছুড়ে দেন প্রশ্নও…

বর্তমানে অভিষেক স্থানীয় এলাকার পাশাপাশি জেলা ছাড়িয়ে অন্যান্য জেলা এবং পার্শ্ববর্তী ওড়িশা রাজ্যেও জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবসা করছেন। প্রসঙ্গত এই জায়েন্ট স্ক্রিন মূলত স্টেজের ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেকোরেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার স্ক্রিন রয়েছে। যা প্রতিদিন একাধিক জায়গায় ভাড়ায় দেন তিনি।

advertisement

বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কঠোর অধ্যবসায়, মনোযোগ এবং জেদ থাকলে অনায়াসে মিলবে সফলতা। তবে তার জন্য প্রয়োজন সময় এবং নিজের ইচ্ছে। আর সেই ধারণাই দিচ্ছেন প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার এই যুবক।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Success Story: আত্মীয়দের থেকে টাকা ধার নিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা, এখন যুবকের রোজগার লক্ষাধিক টাকা !
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল