তুতো ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম বিয়ে, এরপর মেয়ে-জামাইয়ের সামনেই দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই অভিনেত্রী ! সমাজের দিকে ছুড়ে দেন প্রশ্নও…
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Javeria Abbasi Second Wedding: ১৯৯৭ সালে নিজের তুতো-ভাইয়ের সঙ্গে প্রথমবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। এরপর তাঁর কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিল এক কন্যাসন্তান। তবে ২০০৯ সালে অবশ্য তাঁদের সংসারে ভাঙন ধরে। এদিকে কন্যাসন্তানকে ভাল ভাবে মানুষ করার পরে তাঁকে বিয়েও দিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর আবার একা হয়ে যান অভিনেত্রী।
কথায় আছে, বয়স শুধুই সংখ্যামাত্র! অবশ্য বিয়ে কবে হবে, তা বয়সের উপর নির্ভর করে না। আসলে বিয়ের ক্ষেত্রে মনের অনুভূতিটাই আসল আর এটাই ফলে গিয়েছে এক অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেও। ১৯৯৭ সালে নিজের তুতো-ভাইয়ের সঙ্গে প্রথমবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। তাঁদের কোল আলো করে আসে এক কন্যাসন্তান। কিন্তু ২০০৯ সালে সংসারে ভাঙন ধরে। এদিকে কন্যাসন্তানকে ভাল ভাবে মানুষ করার পর তাঁকে বিয়েও দিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর আবার একা হয়ে যান অভিনেত্রী। এবার নিজের জন্য আবারও এক জীবনসঙ্গীর সন্ধান শুরু করেন তিনি। ৫১ বছর বয়সে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। বলুন তো, কে এই অভিনেত্রী? যাঁর ব্যক্তিগত জীবন রুপোলি পর্দার কোনও ছবির থেকে কিছু কম নয়! (Photo: Social Media)
advertisement
নিজের রোম্যান্টিক ছবির কারণে সব সময় সংবাদ শিরোনামে থাকেন পাকিস্তানের বিখ্যাত অভিনেত্রী জাভেরিয়া আব্বাসি। তিনি নিজের দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে নতুন কিছু ছবি ভাগ করে নিয়েছেন। প্রায় এক বছর আগে ৫১ বছর বয়সে দ্বিতীয়বারের জন্য বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জাভেরিয়া। নতুন বর আদিল হায়দররের সঙ্গে বেশ আদুরে ছবি ভাগ করে নিয়েছেন। আর তাতে ভক্তদের ভালবাসাও উপচে পড়েছে।
advertisement
১৯৯৭ সালে জাভেরিয়া নিজের তুতো ভাই শামুন আব্বাসির সঙ্গে প্রথমবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। ১৩ বছর একসঙ্গে কাটানোর পর ২০১০ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের কন্যা আনজিলা নিজেও একজন অভিনেত্রী। বিবাহের প্রায় ১৪ বছর পর দ্বিতীয় বারের জন্য ৫১ বছর বয়সে ব্যবসায়ী আদিল হায়দরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন জাভেরিয়া। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের দ্বিতীয় বিয়ের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন। জানান, তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর কন্যার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও। শুধু জাভেরিয়ারই নয়, এটা আদিল হায়দরেরও দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। আদিল সাক্ষাৎকারে বলেন , “আমরা এখনও পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী হইনি। আমরা আপাতত বন্ধুই আছি''
advertisement
জাভেরিয়ার কথায়, “বিয়ে খুবই ভাল বিষয়। বয়স এক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নয়। আর বিয়ের জন্য আদিলকে রাজি করানো ছিল মুশকিল। আমাদের এক বন্ধুর বাড়িতে নৈশভোজের আমন্ত্রণেই আমাদের আলাপ। প্রথম সাক্ষাৎ ছিল বেশ দারুণ। এরপর বারবার দেখা হতে থাকে আমাদের। একাধিক বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আসলে এই বয়সে বিয়ে নিয়ে সমাজ কী বলে, সেটা নিয়েই বেশি কথা হয়! এটা আদিলেরও দ্বিতীয় বিয়ে। আমি সেটা আগে জানতাম না। এটা আমার জন্য লজ্জার বিষয়''
advertisement
বিবাহবিচ্ছেদের পর দ্বিতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে জাভেরিয়া বলেন যে, “নিজের কন্যার বিয়ের পরে আমি নিজের কথা ভাবার সময় পেয়েছিলাম। আমার নিজেরও সংসার শুরু করা উচিত বলে একটা ভাবনা মাথায় এসেছিল। সমাজই আসলে আমাদের ভাবতে বাধ্য করে। যখন আমার কন্যার বিয়ে হয়, তখন আমার জামাকাপড় নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন অনেক মানুষ। সকলেই আমার কন্যার সুখ নিয়ে কথা বলছিলেন। অথচ কেউ আমার সুখ-আনন্দ নিয়ে মাথা ঘামাননি। এমনকী, বিয়ের পরেও উল্টোপাল্টা মন্তব্য ভেসে এসেছিল। বলা হচ্ছিল, এখন ঈশ্বরের নাম করার সময়। এই বিষয়গুলিই বলে দিচ্ছিল যে, সমাজটা কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে! সকলে আমার সন্তানদের নিয়েও চিন্তিত ছিলেন। প্রশ্ন উঠেছিল যে, সন্তানরা আমাদের বিয়েটাকে কীভাবে গ্রহণ করবেন! তৃতীয় উদ্বেগের বিষয় হল পরিবার। আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ভালবাসা দিয়ে আমায় গ্রহণ করেছেন।”
advertisement
আদিলের কাছেও শোনা গেল এই প্রেমকাহিনির কথা। তাঁর কথায়, “আমি জানতাম না যে, জাভেরিয়া আব্বাসি কে। কারণ আমি ফিল্ম দেখি না। আমার টেক্সটাইলের ব্যবসা রয়েছে। এদিকে গুগলে জাভেরিয়ার বিষয়ে সার্চ করে একটা গোটা রাত কাটিয়ে দিয়েছিলাম আমি। তারপর জানতে পেরেছি যে, উনি একজন অভিনেত্রী।” আদিল বলেন যে, “বিয়ের সমস্ত আচার আমার বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। মানুষ বলছেন যে, আমি হিন্দু, অথচ আমি জাভেরিয়ার কপালে বিন্দি লাগিয়ে দিচ্ছি। অনেকে আবার আমাকে মুসলিম বলে মানতেও নারাজ। আর এটা হয়েছে, কারণ আমাদের দেশে নিকাহ-র সময় কনের কপালে আমরা কুল লিখি। আসলে আমার মনে হয়, কেউ হয়তো খেয়াল করেননি যে, আমার অন্য হাতে কোরান শরিফ ছিল। আমি সেদিকে তাকিয়েই কুল লিখছিলাম। আমি একজন মুসলিম।”
advertisement
প্রসঙ্গত, জাভেরিয়ার প্রাক্তন স্বামী শামুন আব্বাসি নিজেও একজন অভিনেতা এবং প্রযোজক। তিনিও তিন বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আর জাভেরিয়াই ছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী। শামুনের দ্বিতীয় স্ত্রী হুমাইমা মালিক। তিনিও একজন অভিনেত্রী। যদিও সেই বিয়ে অবশ্য টেকেনি। এরপর জেরি রণধাওয়ার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। তবে বর্তমানে শেরি শাহের সঙ্গে থাকেন শামুন।