হুড়া গার্লস স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন রূপালী। ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে ভর্তি হয়েছেন লালপুর মহাত্মা গান্ধি কলেজে। প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি হলেও থেমে থাকেনি তার পথ চলা। নিজের মনের জোর কোনওভাবেই কম হতে দেয়নি রূপালী।
আরও পড়ুন: ভারতের ১০,০০০ টাকার ‘মূল্য’ চিনে ‘কত’ জানেন…? গ্যারান্টি, শুনলেই চমকাবেন ‘উত্তরে’!
advertisement
বহু ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। তবুও থেমে থাকেনি সে। পরিবারের যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। তার এই কর্মকাণ্ডে গর্বিত গোটা জেলা। তাকে দেওয়া হল বিশেষ সম্মান। ড: দুলাল চন্দ্র ঘোষ স্মৃতিবৃত্তি পেল রূপালী।
প্রতিবছরই পুরুলিয়া জেলা যাদব সমাজের পক্ষ থেকে জেলার ১০০ কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। এবছর তাদের মধ্যে নজর কেড়েছে রূপালী মণ্ডল।
এ বিষয়ে রূপালী বলেন, তার মনের জোর সব সময়ই বেশি ছিল। তাই তিনি সমস্ত বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছেন। আর এই যাত্রায় পরিবারের যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছে সে। সকলের সামনে এই সম্মান পেয়ে তার ভীষণই ভাল লাগছে।
আরও পড়ুন: সুখবর…! মাত্র ৫০০ টাকায় ১ কেজির ইলিশ, মিলছে কোথায়? শুনলেই থলে হাতে ছুটবেন!
আগামী দিনে উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে রূপালী। এ বিষয়ে রূপালীর বাবা সোবধ মণ্ডল বলেন, ছোটবেলা থেকেই অনেক কটু কথার সম্মুখীন হলেও তার মেয়ের প্রতি কখনওই ভালবাসা কমেনি তাঁর। সব সময় তিনি মেয়ের পাশে থেকেছেন। মেয়েকে নিয়ে গর্বিত তিনি। মেয়ের পড়াশুনোর ক্ষেত্রে সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বঙ্গীয় যাদব মহাসভার সচিব বাণীব্রত মণ্ডল বলেন, রূপালীকে সম্মানিত করতে পেরে তাঁদের ভীষণই ভাল লাগছে। এটা তাঁদের কাছে গর্বের। আগামী দিনের পড়াশোনার ক্ষেত্রে রুপালী মণ্ডলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে প্রতিমুহূর্তেই জীবনের সঙ্গে সংগ্রামী করে চলেছে রূপালী। কারণ সে বিশেষভাবে সক্ষম। তবুও মনের জোরের কাছে হার মেনে নেননি তিনি। তাকে নিয়ে গর্বিত গোটা জেলা।
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়