ঠিক একইভাবে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর দুই নম্বর ব্লকের কলেশ্বর পঞ্চায়েতে প্লাস্টিক জমা দিয়ে এক কেজি করে চাল, সঙ্গে ধুতি বা শাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরলেন স্থানীয় প্লাস্টিক ব্যবহারকারীরা।কিন্তু এই অভিযানে কতটা সচেতনতা ফিরবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। সোমবার থেকে প্লাস্টিক মুক্ত পঞ্চায়েত তৈরির ডাক দেয় রাজ্য সরকার। সেই মর্মে জেলার ১৯টি পঞ্চায়েতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিউড়িতে জেলা পরিষদে কর্মীদের ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোতল জড় করে জমা দিলেন।
advertisement
কাজল শেখ তাঁদের হাতে চটের ব্যাগ তুলে দিয়ে বলেন, “প্লাস্টিক বর্জনের দিনে আধিকারিকদের সঙ্গে কর্মীরাও নিজেদের উদ্যোগে এগিয়ে এলেন। জেলা জুড়ে শুধু সরকারি উদ্যোগে নয়, বেসরকারি সংস্থাও প্লাস্টিক পুর্নব্যবহার বা বর্জনের উদ্যোগ নিয়েছে।” ময়ূরেশ্বর দুই নম্বর ব্লকে পঞ্চায়েতের তরফে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হল। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের ডাক দিয়েছিল। তাই সকাল থেকে এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করে নিয়ে এসে চাল ও শাড়ি পেলেম। এলাকার অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দা বাসিন্দা কৌশিক কর্মকার বলেন, “ব্যাগ নিয়ে যেতে ভুলে গেলে বাজার থেকে এখনও ক্যারি ব্যাগে করে সামগ্রী আনি। সেগুলিই জোগাড় করে রেখেছিলাম। প্রায় আড়াই কেজির উপর প্লাস্টিক জমা দিয়ে চাল ও ধুতি পেলাম।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার যারা হত দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী, তারাই প্লাস্টিক এনেছিলেন। তাই পঞ্চায়েতের ত্রাণ তহবিল থেকেই তাদের উৎসাহ দিতে চাল ও কাপড় অথবা ধুতি দেওয়া হল। ময়ূরেশ্বর ২ বিডিও পুষ্পেন্দু সাহা জানান, এই কর্মসূচিতে ৩০ জন প্লাস্টিক ব্যবহারকারী বর্জ্য প্লাস্টিক জমা দেন। এলাকার মানুষকে সচেতন করার জন্য তাঁদের উপহার দেওয়া হলও। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে এত কিছু করার পরেও কি কমবে প্লাস্টিক ব্যাবহার! থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন।
সৌভিক রায়