২০১২ সালের ২৮ অগস্ট নাড়ুগোপাল নিজের কাজে ইলামবাজার যাওয়ার পথে রায়পুর বাস স্ট্যান্ডের কাছে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতি তাঁর হাত, পা ও মুখ বেঁধে রাস্তা থেকে অনেকটা দূরে ফেলে রেখে বাইক নিয়ে পালায়। তারপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু তারপরেও মেলেনি বাইক। অন্যদিকে দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেনের নেতৃত্বে উদ্ধার হয় ৪২টি বাইক। তার পরই ২৯ জুন দুবরাজপুরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আটক করা হয় মনিমোহন দাসকে।
advertisement
আরও পড়ুন: শিক্ষক সঙ্কটে ধুঁকছে ৭৭ বছরের পুরনো স্কুল, অনিশ্চিত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ
প্রথমে তার থেকে উদ্ধার হয় ৯টি চুরি করা বাইক। পরে আরও ১১টি বাইক উদ্ধার করে পুলিশ। দুবরাজপুর থানার ওসি মোট ৫৩টি চোরাই বাইক উদ্ধার করেন। তার পরই ওই বাইকগুলোর ইঞ্জিন নম্বর ও চেসিস নম্বর দেখে তা তুলে দেওয়া হয় আসল মালিকের হাতে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই বাইক গুলির মধ্যে একটি বাইক ছিল নাড়ুগোপালের। ওই বাইকের নম্বর প্লেট পাল্টে দিয়েছিল ছিনতাইকারীরা। তবে গাড়ির ইঞ্জিন নম্বর ও চেসিস নম্বর দেখে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় গাড়ির আসল মালিককে।
আরও পড়ুন: কচিকাঁচাদের স্কুলমুখো করতে পড়াশোনা উৎসব, অভিনব উদ্যোগ জেলায়
নাড়ুগোপাল বলেন, " কোনও দিন ভাবিনি যে বাইকটা আবার ফিরে পাবে। বাইক ফিরে পেয়ে দারুন খুশি আমি। অসংখ্য ধন্যবাদ দুবরাজপুর থানার পুলিশকে। যা আমি কখনওই স্বপ্নেও ভাবেননি সেটাই করে দেখাল দুবরাজপুর থানার পুলিশ। সত্যিই কোনও দিন ভুলব না।"
নাড়ুগোপালের বন্ধু লালমোহন সিং বলেন, " দশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বাইক আমাদের মাথা থেকেই বেরিয়ে গিয়েছিল। দুবরাজপুর থানার প্রচেষ্টায় এইভাবে বন্ধুর বাইক ফিরে পেয়ে স্বভাবতই খুশি আমরা। দুবরাজপুর থানার পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ।"
Supratim Das