মিষ্টি তৈরির ক্ষেত্রে কারিগরদের সারাক্ষণ প্রবল উত্তাপে জ্বলতে থাকা উনুন বা ভিয়েনের সামনে কাজ করতে হয়। দুধ জাল দেওয়া, সেটাকে ভালমত পাক দিয়ে নির্ধারিত মাত্রায় নিয়ে আসা এই সব কিছুই উনুনে হয়। কিন্তু এই তীব্র গরমে মিষ্টি তৈরির কারিগররা সহজে উনুনের সামনে যেতে চাইছেন না। আর তাতেই জামাইদের পাতে মিষ্টিতে টান পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গাতেই চাহিদা অনুযায়ী মিষ্টি পাননি শ্বশুররা।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষা আসতেই জল বেড়েছে তোর্ষায়, দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছে মধুপুর
যে কারণে প্রত্যেক বছর জামাইষষ্ঠীতে যে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি দোকানগুলিতে পাওয়া যায়, সেখানে এবারে মিষ্টির ভ্যারাইটি অনেক কম। শহরের বিভিন্ন নামিদামি দোকানগুলিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, যেখানে প্রত্যেক বছর জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টি বানানো হয়, সেখানে দু-এক রকমের সন্দেশ ছাড়া আর তেমন কিছু নেই। তাছাড়াও জামাইষষ্ঠীর আগে মিষ্টির দোকানগুলিতে যেভাবে লম্বা লাইন দেখা যায়, সেই ছবিটাও এবার যেন অনেকটাই ফিকে হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজার ভীষণভাবে খারাপ। প্রথমত কারিগররা মিষ্টি তৈরি করতে পারছেন না। তীব্র গরমের কারণে তাঁরা বেশিক্ষণ উনুনের সামনে থাকতেই পারছেন না। ফলে মিষ্টি তৈরিতে টান পড়েছে। আবার মানুষজনও সেইভাবে দোকানে আসছেন না। জামাইষষ্ঠীতে যে লাভের আশা মিষ্টি বিক্রেতাদের থাকে, এবারে সেই লাভে ভাটা পড়ছে। আবার গরমের ছোবলে জামাইদের পাতেও মিষ্টিতে টান পড়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, জামাইষষ্ঠীতে বিভিন্ন রকম মিষ্টি সাজিয়ে জামাইয়ের পাতে তুলে দিতে হয়। এটাই রীতি। কিন্তু দোকানে এবছর সেইভাবে ভ্যারাইটি মিষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। খালি জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বানানো কিছু সন্দেশ রয়েছে। আবার অনেক দোকানে তো সারা বছর যেরকম মিষ্টি পাওয়া যায়, তার থেকেও কম মিষ্টি রয়েছে এই সময়। আবার কেউ কেউ বলছেন, এই গরমের কারণে জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠান তাঁরা বাতিল করেছেন। নমো নমো করে সেরে ফেলছেন নিয়ম রক্ষার কাজটুকু।
নয়ন ঘোষ