গ্রিন সিটি নার্সারির উদ্যোক্তারা কিছু নির্দিষ্ট চারা সংগ্রহ করে স্থানীয় জলবায়ু এবং মাটির গুণমান অনুযায়ী সেগুলিকে রোপণ করেন। প্রথম কয়েক মাসেই গাছগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং ফলন দেখে তাঁরা আশ্বস্ত হন। এক বছরের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। দেখা যায়, প্রতিটি লেবু সম্পূর্ণ সিডলেস। অর্থাৎ ভিতরে একটিও বীজ নেই। এই লেবুগুলি আকারে মাঝারি, খোসা পাতলা এবং অত্যন্ত রসালো। স্বাদে হালকা টক-মিষ্টি এবং ঘ্রাণে সজীবতার ছোঁয়া রয়েছে। শরবত তৈরির জন্য আদর্শ এই লেবুর ব্যবহার বাড়লে তা সাধারণ ক্রেতাদের কাছেও বিশেষভাবে জনপ্রিয় হতে পারে। বসিরহাটের খোলাপোতার গ্রীন সিটি নার্সারির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা এখন এই সিডলেস লেবুর গাছ থেকে চারা তৈরি করে বিক্রি শুরু করার পরিকল্পনা করছেন। প্রথম পর্যায়ে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে।
advertisement
এই লেবু শুধুমাত্র ঘরোয়া ব্যবহারে নয়, হোটেল, রেস্তোরাঁ, পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং রফতানিকারকদের কাছেও বিপুল চাহিদার সম্ভাবনা রাখে। কারণ বীজবিহীন লেবু বিদেশে বহু আগে থেকেই জনপ্রিয় এবং মূল্যবান কৃষিপণ্য হিসাবে বিবেচিত। এই লেবু চাষে বিশেষ কোনও অতিরিক্ত সার বা কীটনাশক প্রয়োজন হয় না। বরং সাধারণ যত্নেই ভাল ফলন সম্ভব। ফলে স্বল্প ব্যয়ে অধিক মুনাফা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। তবে সিডলেস লেবু শুধু একটি নতুন চাষযোগ্য ফল নয়, এটি একটি সম্ভাবনার নাম। বসিরহাটের এই সাফল্য যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তবে তা কৃষি, বাণিজ্য ও রফতানির দিক থেকে রাজ্যের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে।
জুলফিকার মোল্যা