আদালত অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৯ ডিসেম্বর সুনিতার পরিবার ও এলাকাবাসীরা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে মিছিল করেন। বিক্ষোভ চলাকালীন অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরবর্তীতে মৃতার পরিবার বারাসত থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে ন্যায়বিচারের দাবি জানায়। পুলিশ পরিবারকে আশ্বস্ত করেছে, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর সুনিতা ও তার স্বামী সৌম্য বাড়িতেই ছিলেন। জেরায় অভিযুক্তর সৌম্যর দাবি, বাড়ি থেকে বেরনোর জন্য সে নিজের ঘরে জামাকাপড় পরতে গিয়ে দেখে, দরজা বন্ধ। একাধিকবার ডাকাডাকি সত্ত্বেও সুনিতা দরজা খোলেন না। তাতেই সন্দেহ হয় তার। পরে দরজা ভেঙে সুনিতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় সৌম্য। সে সুনিতাকে নামিয়ে পরিবারের বাকি সদস্যদের খবর দেয়। মৃতার পরিবার ঘটনাস্থলে এসে দেখেন, সুনিতাকে খাটে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের দাবি, বাড়িতে থাকাকালীন সুনিতার শরীরে স্পষ্ট কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা না গেলেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ধীরে ধীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট হতে থাকে। এতে পরিবারের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। পরে লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে সুনিতার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকে দফায় দফায় কয়েক হাজার টাকা সৌম্য নিয়েছিল বলে অভিযোগ। ব্যবসায় মন্দার কারণ দেখিয়ে এই টাকা নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, পরে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় বলেও মৃতার পরিবারের অভিযোগ। যদিও সেই টাকা দেওয়া হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে না আসায় এটি খুন না আত্মহত্যা- তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না তদন্তকারী আধিকারিকেরা। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া যেতে পারে।






