সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের সাউথ পয়েন্ট পাবলিক স্কুলে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে যান লগ্নজিতা চক্রবর্তী। অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টায়। প্রথমে সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। দর্শকদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। ৭টা থেকে ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কোনও রকম অশান্তি ছাড়াই অনুষ্ঠান চলে। শিল্পী একের পর এক গান পরিবেশন করেন এবং প্রথম তিনটি গান শেষ হওয়ার পর তাঁকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে। সপ্তম গান পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই অনুষ্ঠান এগোয়। অষ্টম গানে যাওয়ার আগে দর্শকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন গায়িকা, সেই সময়ই আচমকা পরিস্থিতির বদল ঘটে বলে অভিযোগ।
advertisement
অভিযোগ, ‘জাগো মা’ গানটি গাওয়া শুরু করতেই আপত্তি জানান স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক। তিনি গায়িকার উদ্দেশে অশ্রাব্য ভাষায় কটূক্তি করতে থাকেন বলে দাবি। অভিযোগ, তাঁকে বলা হয় ‘ধর্মনিরপেক্ষ গান’ গাইতে হবে এবং ওই গানটি বন্ধ করতে হবে। এখানেই শুরু হয় তীব্র বাকবিতণ্ডা। গায়িকার অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি রীতিমতো মঞ্চে উঠে এসে তাঁকে মারধর করার চেষ্টা করেন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই এই ঘটনায় চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করেন উপস্থিত অন্যরা। রাতেই ভগবানপুর থানায় গিয়ে গায়িকার পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। ভগবানপুর থানার ওসি শাহেনশাহ হক জানান, “একটি স্কুল অনুষ্ঠানে গোলমাল হয়েছে এবং অভিযোগ জমা পড়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।” অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার মিতুনকুমার দে বলেন, “অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে এবং শিল্পীকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় থানার কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে।” এই ঘটনার পর শিল্পী মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিল্পীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, যা সংস্কৃতি জগতের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় বলে মত শিল্পীদের।






