ভূগোলে লেটার, অন্যান্য বিষয়েও নজর করা নম্বর। জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে আজ জীবনের প্রথম পরীক্ষায় সে যে সাফল্য অর্জন করেছে তার প্রকৃতিত্বটাই দিতে চায় তার পরিবারকে। কারণ পরিবার পাশে না থাকলে তার হয়তো পড়াশোনা করা হত না। জানা গিয়েছে কোমরে অসুবিধার জন্য ছোট্ট বেলা থেকে হাঁটাচলার অসুবিধা ছিল সৌনকের।
advertisement
প্রথমে থ্যালাসেমিয়া ভেবে রক্তের বা জিনের ত্রুটির চিকিৎসা করা হয়, এর পরে কোমরে টিউমারের মতো দেখা দেওয়ায় চিকিৎসা করা হয় বলা হয় সেটা নাকি ক্যানসারে দিকে এগোচ্ছে ফলে অপারেশন এর ব্যবস্থা করা হয়।
অপারেশন এর পরেই সৌনক পুরোপুরি পঙ্গু হয়ে যায় কোমরের নিচের থেকে দেহের বাকি অংশ অসাড় হয়ে প্যারালাইসিস হয়ে পা বেঁকে যায় ভূল চিকিৎসার জন্য। বিরল স্নায়ু রোগের জন্য সৌনকের আজ এই অবস্থা হল কিনা, তার কারণ স্পষ্ট নয়।
বাবা সুমন্ত চক্রবর্তীর একটা বাইক সারানোর ছোট্ট দোকান রয়েছে গুপ্তিপাড়ার বড়বাজারে। যা আয় হয়, তা থেকেই বেশিরভাগই ব্যয় করেন ছেলের চিকিৎসার জন্য। ছোট থেকেই পড়তে দিয়ে আসা নিয়ে আসা সবকিছুই তার মা বাবা এক সঙ্গে করতেন ছেলের জন্য। কারণ ছেলে হাঁটাচলা করতে পারে না। তার শেষ সম্বল এখন হুইল চেয়ার।
কোলে করে পড়তে দিয়ে আসা থেকে পড়ার পর নিয়ে আসা, সবই করেছে তার পরিবারের লোকজন। ছোট্ট গ্যারেজ থেকে যেটুকু আয় হয় তাই দিয়ে ছেলের ওষুধের খরচ দেশ বিদেশের চিকিৎসা করানোর খরচ ও তার পড়াশোনা খরচ সবই চালাচ্ছে তার বাবা। আজ যখন ছেলে মাধ্যমিকের নজর কারা সাফল্য পেয়েছে তখন চোখে জল তার বাবারও। নিজে সোজা হয়ে না জানাতে পারলেও, আগামী দিনে শিক্ষক হয়ে সমাজের মেরুদণ্ড তৈরি করার কারিগর হতে চায় সৌনক। তাই আগামী লড়াইয়ের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সে।
রাহী হালদার