উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি, ডাঁসা, ছোট কলাগাছি, বিদ্যাধরী সহ একাধিক নদী। বসিরহাট মহাকুমার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে উপকূলবর্তী এলাকা। ঘূর্ণিঝড় বারবার আঘাত হানে, তছনছ করে দেয় গোটা এলাকা। আয়লা, আমফান, বুলবুল, রিমেল সহ একাধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত করেছে বসিরহাটের উপকূলবর্তী এলাকায়। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারত যদি না বুক চিতিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে মোকাবিলা করত ম্যানগ্রোভ অরণ্য।
advertisement
আরও পড়ুন: গরম বাড়তেই সুন্দরবনে বাড়ছে বিষধর সাপের উপদ্রব, আতঙ্কে গ্রামবাসীরা
এক কথায় সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য যদি না থাকত তাহলে বসিরহাটের উপকূলবর্তী এলাকা তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত আরও তীব্র থেকে তীব্র হত। তবে দিনের পর দিন যেভাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য কমছে তাতে আগামী দিনে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেদিকেই তাকিয়ে এবার এলাকার বাসিন্দারা ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে বাঁচাতে এবং সুন্দরবনবাসীকে অভিশপ্ত ঘূর্ণিঝড়ে হাত থেকে রক্ষা করতে নাম কীর্তন এবং প্রার্থনা সভার আয়োজন করেন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার জয় কৃষ্ণপুর ঠাকুরতলা এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ এই প্রার্থনা সভাটি। পাশাপাশি সকলকে সচেতন হয়ে ওঠার ডাক দেওয়া হয়।
জুলফিকার মোল্যা