প্রতি বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কমছে জীববৈচিত্র্যের সমাহার। এই পরিস্থিতিতে এবার জীববৈচিত্র রক্ষায় বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে বিধাননগর পুরনিগম। পুরনিগম সূত্রে খবর, শুরু হচ্ছে এক বিস্তৃত সমীক্ষা, খতিয়ে দেখা হবে—সল্টলেক অঞ্চলে কত গাছ, কী কী প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ ও জলজ প্রাণী রয়েছে। গঠিত হবে একটি বায়োডাইভারসিটি ডেটাবেস।
প্রথম পর্যায়ে সমীক্ষা হবে সল্টলেকের ১৪টি ওয়ার্ডে, এর পর রাজারহাট গোপালপুরের ২৭টি ওয়ার্ডেও ছড়িয়ে পড়বে এই প্রয়াস। পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের এক কর্তার কথায়, বিধাননগরের মতো জীববৈচিত্র্যের সমাহার অনেক বড় শহরেও নেই। ভবিষ্যতে তা যাতে রক্ষা করা যায়, সেই লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
advertisement
আরও পড়ুন- এই হাসফাঁস গরমে হাসপাতালে পানীয় জল সংকট, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ ফুলিয়ায়
এই সমীক্ষায় সাহায্য করবেন সল্টলেকের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। প্রয়োজনে যুক্ত করা হবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদেরও। জানা গিয়েছে, অতীতে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ১৩৮ প্রজাতির গাছ রয়েছে, ২৯০ প্রজাতির প্রাণী, ৮৪টি প্রজাতির পাখি, রয়েছে ৭০ ধরনের প্রজাপতি, ৪৭ রকমের মাছ, এছাড়াও ২২ প্রজাতির সরীসৃপ।
সল্টলেকবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ক্রমেই কমছে পাখির সংখ্যা। এফডি ব্লকের বাসিন্দা সঞ্চালিকা চক্রবর্তী জানান, একসময় সকাল-সন্ধ্যায় পাখির ডাক শোনা যেত। এখন সেটা আর হয় না। গাছ কাটা এবং ঝড়ে ভেঙে পড়াই এর কারণ। পরিবেশবিদরা বলছেন সল্টলেকে তুলনায় বেশি গাছ রয়েছে বলেই এখানে জীববৈচিত্র বেশি। ডেটাবেস তৈরি হলে প্রশাসনের পক্ষে তা রক্ষা করা অনেক সহজ হবে।
এর আগে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে কলকাতা পুরসভাও শহরের জীববৈচিত্র খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার সল্টলেকেও সেই পথেই হাঁটছে পুরনিগম। পরিবেশ রক্ষায় এ উদ্যোগ যে নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, সে বিষয়ে দ্বিমত নেই পরিবেশবিদ থেকে সল্টলেক বাসীদের মধ্যে।
Rudra Narayan Roy