আসানসোলের ভূতনাথ ঘাট। অতীতে এই ঘাটে একাধিক দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু ছট পুজোর সময় এই ঘাটে বহু সংখ্যক পুণ্যার্থীদের ভিড় জমে। ২০ থেকে ২৫ হাজার পুন্যার্থী এই ঘাটে আসেন ছট পুজোর জন্য। তাই বিশেষ নজর রয়েছে এই ঘাটের দিকে। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য এখানে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি প্ল্যাকার্ড এবং মাইকিং করে সতর্ক করা হবে। থাকবেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যরা। সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে গোটা এলাকা।
advertisement
আরও পড়ুন : আবার উৎসবের প্রস্তুতি জেলায়! ছট পুজোর প্রস্তুতি শুরু প্রশাসনিক স্তরে, নিরাপত্তায় জোর
শুধুমাত্র দুর্গাপুর পুরসভা এলাকাতেই ছট পুজোর জন্য থাকছে মোট ৭২টি ঘাট। যার মধ্যে কিছু ঘাটে কম সংখ্যক ব্রতীরা আসবেন। তবে এমনও অনেক ঘাট রয়েছে, যেখানে কয়েক হাজার করে পুণ্যার্থী ভিড় করবেন। ফলে এই সমস্ত ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত আলো, মহিলাদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য আলাদা কক্ষ, সিসিটিভি ক্যামেরা – ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি ঘাটে থাকছে ফার্স্ট এইড কিট।
আরও পড়ুন : নানা মুনির নানা মত! অ্যাম্বুলেন্স থাকতেও চাইতে গেলে শুনতে হয় অন্য কথা
শেষ নয় এখানেই। ছট পুজোর দিন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে বহু মানুষের ভিড় হবে। ফলে ব্যাপকভাবে যানজটের আশঙ্কা থাকছে। যে কারণে আগেভাগে সতর্ক করা হয়েছে ট্রাফিক বিভাগকে। ট্রাফিকের বিভাগের তরফ থেকেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা নেও য়া হয়েছে। ছট ঘাটগুলির পাশাপাশি জেলার নিরাপত্তার জন্য চলবে নজরদারি। বাড়তি ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য রেলস্টেশন গুলিতেও তৎপর থাকবেন রেল পুলিশের কর্মীরা। সবমিলিয়ে ছট পুজো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তৎপর জেলা প্রশাসন।
নয়ন ঘোষ