বাঁকুড়া, মেট্যালা, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: রাতের অন্ধকারেই টর্চ হাতে বেরিয়ে পড়েছে গোটা গ্রাম, চোখে মুখে একটা আতঙ্কের ছাপ। জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা। দিনে রাতে উড়েছে ঘুম। রাতের বেলা একেবারে অন্ধকার হয়ে যায় বাঁকুড়ার এই গ্রাম। এই গ্রামে কী হচ্ছে জানলেই আপনি অবাক হবেন! হয়ত আপনার ভয়ও হতে পারে। গ্রামবাসীরা খুঁজছেন উত্তর এমন একটা প্রশ্নের যা প্রতিদিন সকালে এবং রাতে জাগিয়ে রাখছে তাদেরকে।
advertisement
দিন হোক বা রাত বাড়ির ছাদে পড়ছে ঢিল। কে বা কারা এই ঢিল ছুড়ছে বুঝে উঠতে পারছেন না মেট্যালা গ্রামের বাসিন্দারা। গ্ৰামের যুবকরা রাত পাহারার ব্যবস্থা করেছে তবুও সমস্যা মিটছে না। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে টালি ও অ্যাসবেস্টসের ছাদ, রীতিমতো একপ্রকার ভয়ে রয়েছেন মানুষজন। মানুষজন কী করবেন বুঝতে পারছেন না! অনেকে আবার একটি ভৌতিক অ্যাঙ্গেল দেওয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু গ্রামের যুব সমাজ মনে করছে যে কেউ বদমাইশি করে এই কাজ করছে।
বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম মেট্যালা। দিনে দুপুরে বাড়ির ছাদে পড়ছে বড় বড় পাথর। ডালির ছাদ এবং অ্যাসবেস্টস চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অদ্ভুত অবাক করা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার এই গ্রামে।
তবে এই ঘটনার মাধ্যমে একজোট হয়েছে গ্রামবাসীরা। একজোট হয়ে সুরাহা খোঁজার চেষ্টা করছেন তারা। কোনও রকম কুসংস্কার কিংবা আতঙ্ক নয়, নিজেরাই পাহারা দিয়ে খোঁজার চেষ্টা চলছে। গ্রামবাসী সোনালী দাস জানান, বিগত সাত আট দিন ধরে রাতের বেলায় দুমদাম পাথর পড়ছে বাড়ির চালে, নতুন সংযোজন ,সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে একই কাণ্ড। ব্যতিব্যস্ত সকলে।
যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ছাতনা থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার। বেশ কয়েকদিন ধরেই মানসিক চাপে ভুগছেন গ্রামবাসীরা। ছাতনা পুলিশের আশ্বাস পেয়ে যথেষ্ট আশাবাদী তারা।





