বাবার কাছ থেকেই পায়রা পোষার শখ পেয়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তাঁর বাবা পায়রা লালন পালন করতেন। বাবার কাছ থেকেই পায়রার নেশা। এরপর বিভিন্ন পায়রা প্রতিযোগিতায় নিজের পায়রাকে অংশগ্রহণ করিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে জয়নগরের সুমন। বেঙ্গল-সহ একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। এবার স্বপ্ন আন্তর্জাতিক স্তরে পায়রা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা।
advertisement
কীভাবে এই পায়রা প্রতিযোগিতা হয়?
পায়রা প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে গেলে যেখানে টুর্নামেন্ট হয় সেখানে যোগাযোগ করতে হবে। আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি আগের দিন রাতে ওই প্রতিযোগীর বাড়িতে চলে আসেন। তারপর ভোর পাঁচটার সময় পায়রাগুলো আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়। যদি কোন প্রতিযোগীর পায়রা সন্ধ্যের আগেই নিজের বাসায় ফিরে আসে। তাহলে ওই পায়রাগুলো প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে যাবে। আর যদি সময় মত পৌঁছাতে পারে তবেই সেই পায়রা প্রতিযোগিতার আওতার মধ্যে চলে আসে।
এই প্রসঙ্গে পায়রা পালক সুমন জানান, ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আমাদের বাড়িতে আমার বাবা পায়রা পুষতো। এরপর আমার দাদা পায়রা পুষতো। ছোটবেলা থেকে পায়রার প্রতি আমার নেশা ছিল। সেই নেশাকে এখন পেশা বানিয়েছি। বর্তমানে আমার কাছে ৪০ জোড়া পায়রা রয়েছে। বিভিন্ন পায়রা প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করেছি। এখন আমার স্বপ্ন আন্তর্জাতিক স্তরে পায়রা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। সেই লক্ষ্যকে পূরণ করার জন্য এখন থেকে পায়রাগুলোকে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও বিশেষ পরিচর্যা করছি। পায়রার খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি পায়রাগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে শ্যামল কুমার নস্কর জানান, সুমনের পায়রা দেখার জন্য বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে। এবং সুমনের কাছ থেকে পায়রা কিনে নিয়ে যায়। প্রতি জোড়া পায়রা ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেন উনি। উনি বেঙ্গল খেলে এসেছেন আবারও বেঙ্গল ফেলবেন। আন্তর্জাতিক স্তরে পায়রা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য নিজের পায়রাগুলোকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এখন থেকেই। আমরা চাই উনি আন্তর্জাতিক স্তরে পায়রা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করুক।