দীর্ঘদিন ধরে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালুয়ায় রাস্তাঘাটের বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন স্থানীয়রা। বর্ষায় কাদা, জল জমে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল গোটা এলাকা। টানা বর্ষায় রাস্তা ভেঙে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। জমেছে জল। রাস্তা জুড়ে কাদা। ফলে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, এলাকাতে ঢুকতে পারছিল না পরিষেবা প্রদানকারী কোন গাড়িও। আসা বন্ধ করে দিয়েছিল ময়লা ফেলার গাড়ি, পানীয় জল সরবরাহের গাড়ি, গ্যাস সিলিন্ডারের ডেলিভারি ভ্যান, এমনকি পুলকারও।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৩ কোটি হলেই সমস্যার সমাধান! হাঁটুসমান জমা জলের সমস্যা, বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে যা যা শুনলেন বাসিন্দারা
রাস্তার বেহাল দশার জেরে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। সব মিলিয়ে দুর্ভোগ চরমে উঠেছিল। সেই দুরবস্থার চিত্র উঠে এসেছিল লোকাল ১৮ বাংলার প্রতিবেদনে। সংবাদ প্রকাশ হতেই এবার নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। শুরু হয়েছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। এলাকা ঘুরে তদারকিতে নামেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দেখেন কাজের অগ্রগতি।
আরও পড়ুনঃ স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতেই ধেয়ে এল ইট…! মাথা ফাটল আলির, কোনও রেষারেষি? ফাঁস কালো সত্য
তিনি জানান, “আমি এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা জানি। নিকাশি ব্যবস্থা এবং পাইপ লাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর কিছুটা সময় মাটি বসতে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেই কারণেই রাস্তা তৈরিতে সামান্য দেরি হয়েছে।” অবশেষে শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত রাস্তা সংস্কার। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের স্পষ্ট কথা, “উন্নয়ন হোক, তবে যেন টেকসই হয়। কিছুদিন পর আবার এমন পরিস্থিতি ফিরে না আসে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ঘটনা ফের একবার দেখিয়ে দিল একটি শক্তিশালী প্রতিবেদন কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সমাজে। প্রশাসন যখন তৎপর হয়, সমস্যার সমাধান হয়, মানুষের মুখে ফোটে হাসি। ঢালুয়াবাসীর দৈনন্দিন জীবনে এই ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন তারই নিদর্শন।