শুক্রবার বিকেলে নৌকায় বসে থাকার সময় অতর্কিতে জঙ্গল থেকে একটি বাঘ তাপস হালদারের ওপর আক্রমণ করে। তারপর টানতে টানতে জঙ্গলে নিয়ে যায়। সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করেন তাপস হালদার। সেই চিৎকার শুনে সঙ্গীরা ছুটে আসেন এবং বাঘের মুখ থেকে তাপস হালদারকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই চেষ্টা বিফলে যায়। এরপর নেপাল ও গোপাল পাইক গ্রামে ফিরে আসেন এবং সম্পূর্ণ বিষয় পরিবারের লোককে জানান। তারপর বিষয়টি জানানো হয় বন দফতরের আধিকারিকদের। বনবিভাগের কর্মীরা জঙ্গল থেকে তাপস হালদারের মৃতদেহ উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন : লক্ষ্য দ্বাদশ জ্যোর্তিলিঙ্গ ও চারধাম! ফিটনেস-যোগার বার্তা নিয়ে ‘মহাযাত্রা’য় আলমোড়ার যুবক, এলেন পুরুলিয়া
দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে। এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী নেপাল পাইক তিনি জানান, গত মঙ্গলবার সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে মাছ ধরার জন্য বৈধ পাস নিয়ে আমার দাদা গোপাল পাইকের নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের জঙ্গলে যাই কাঁকড়া ধরার উদ্দেশে। শুক্রবার বিকেলে নৌকায় বসে থাকা তাপস হালদারের ওপর আক্রমণ করে বাঘ। আমরা অনেক চেষ্টা করি। কিন্তু বাঘ টানতে টানতে তাপসকে জঙ্গলে নিয়ে যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এরপর আমরা গ্রামে ফিরে এসে সম্পূর্ণ বিষয় বন দফতরের কর্মীদেরকে এবং মইপিঠ কোস্টাল থানার পুলিশকে জানিয়েছি। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে তাপস হালদারের স্ত্রী পার্বতী হালদার বলেন, আমার স্বামী জঙ্গলে গিয়েছিল মাছ ধরতে। কিন্তু বাঘে টেনে নিয়ে চলে গিয়েছে। কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না। এক মুহূর্তে আমার সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। গত বেশ কয়েকদিন আগে সুন্দরবনের মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল আর এক মৎস্যজীবীর। আবারও এই ঘটনায় সার্বিকভাবে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।






