মূলত জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষজনের সহযোগিতায় শুরু হয়েছিল এই রেড ক্রস। ডায়মন্ডহারবারেও খোলা হয়েছিল রেডক্রসের একটি ভবন। ১৮৬৩ সালের পর থেকে বছর জুড়ে কাজ করে এই রেড ক্রস। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৬৩ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেন সেন্টিনারি হাসপাতাল হিসাবে এটিকে উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুনঃ বেহাল রাস্তা দিয়েই দিনের পর দিন যাতায়াত পড়ুয়াদের, রাস্তা কেটে প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের!
advertisement
তখন এটির নাম দেওয়া হয়েছিল শতাব্দীর রেডক্রস মাতৃমঙ্গল ও শিশুকল্যান স্বাস্থ্যমন্দির। তখন থেকে শতাব্দী প্রাচীন ডায়মন্ড হারবার রেড ক্রসের চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধা পেত দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটা বড় অংশের মানুষজন।
কিন্তু আজকে সেই রেডক্রসের বেহাল দশা। বর্তমানে মাত্র ৬ জন কর্মীই নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছেন। তারা আবার চার মাস বেতন পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। সেখান থেকে আর কোনও সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছেনা বললেই চলে।
২০১০ সালের আগে পর্যন্তও এখানে জন্ম নিত শয়ে শয়ে শিশু। কিন্তু বর্তমানে ঠিক তার উল্টো চিত্র। পুরো বিল্ডিং টাই শূন্যতায় ভরে গিয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের প্রাক্তন মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ উমাপদ পুরকাইতের এর সহযোগিতায় বিল্ডিং এর কিছু অংশ সংস্কার করা হয়েছিল । কিন্তু উমাপদ বাবুর অকস্মাৎ মৃত্যুতে সেই স্বপ্নও ভেঙে যায়।
অন্যদিকে কর্মীদের মনবলও ভেঙে পড়ছে ধীরে ধীরে। মাসের পর মাস বেতন না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তাঁরা। কী হবে রেডক্রসের ভবিষ্যৎ সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রেডক্রস কর্মীদের মনে।
নবাব মল্লিক





