ঘোড়ামারাতে যাওয়ার জন্য লঞ্চ অথবা নৌকাতে পর্যটকদের জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া রয়েছে। দ্বীপে নামলেও দেখতে পাবেন এই দ্বীপ প্লাস্টিক ও থার্মোকল মুক্ত এলাকা। এক সময় সাগরদ্বীপের খুব কাছে থাকা এই দ্বীপ গত দুই দশকে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এক সময় গোটা দ্বীপ মিলিয়ে একটি পঞ্চায়েত গড়ে উঠেছিল। কিন্তু ভাঙনের জেরে মানুষ চলে যাচ্ছেন অন্যত্র।
advertisement
আরও পড়ুন: পোনা মাছ ধরার জালে দৈত্যাকার কচ্ছপ, তুলতে গিয়ে হিমশিম খেলেন মৎস্যজীবী! ওজন জানলে মাথা ঘুরে যাবে
ফলে বর্তমানে দ্বীপের জনসংখ্যা মাত্র চার হাজারে নেমে এসেছে। বাড়ি-ঘর, চাষের জমি, বাজার-সবকিছুই ধীরে ধীরে ভাঙনের মুখে। কিছু অংশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে দ্বীপবাসীর। যে কোনও মুহূর্তে আরও বড় অংশ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক পরিবার ইতিমধ্যেই দ্বীপ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। যাঁরা রয়ে গিয়েছেন, তাঁদের জীবিকা এখন গভীর সংকটে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিবেশবিদদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও বর্ধিত জোয়ার-ভাটার শক্তিই দ্বীপটির ক্ষয় আরও দ্রুততর করছে। জরুরি ভিত্তিতে সুরক্ষাব্যবস্থা না নিলে মানচিত্র থেকে ঘোড়ামারা দ্বীপ সম্পূর্ণ মুছে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।





