ইতিমধ্যে হ্যাম রেডিও ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরিশ নাগ বিশ্বাসের সঙ্গে ভিডিও কলে ওই মহিলার সঙ্গে পরিবারের লোকজন ও ওই মহিলার কথা বলানো হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে।
সহযোগিতার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) ও গঙ্গাসাগর মেলা অফিসার ভিনিত পুনিয়া এবং জেলা শাসক আরভিন্দ কুমার মীনা সহ সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও সহ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তাঁরাও সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
advertisement
বর্তমানে ওই মহিলাকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের গোলাবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনে। কিন্তু কিভাবে তিনি বাংলাদেশে পৌঁছালেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
প্রায় ২০ বছর আগে গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থ ভ্রমণের জন্য মধ্যপ্রদেশ থেকে এসেছিলেন রাধিকা। স্বামী সহ গ্রামের প্রতিবেশীদের সঙ্গে একসঙ্গে এসে মেলায় হারিয়ে গিয়েছিলেন। কোথায় খোঁজ না পেয়ে সকলে ভেবেছিলেন তিনি মারা গিয়েছেন।
এদিকে নতুন ভাবে তাঁকে খুঁজে পাওয়ায় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা তিনি শুধু জানান সাগর। সেজন্য শুরু হয় সাগরে খোঁজাখুঁজির কাজ। কিন্তু অনেক খুঁজে নিশ্চিত হওয়া যায় তাঁর বাড়ি সাগরে নয়। তিনি সাগর মেলায় হারিয়েছিলেন। পরে খোঁজ মেলে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার। সেখানে রাধিকার স্বামী বালীচাঁদ ও এক পুত্র পুরান মারা গিয়েছেন। অন্য দুই পুত্র দিল্লিতে কাজের সূত্রে থাকেন।
কিন্তু ঐ বৃদ্ধা বাংলাদেশে পৌঁছলেন কী করে? হ্যাম রেডিও কর্মকর্তাদের দাবি কিছু বেআইনি ট্রলারে রাতের অন্ধকারে গোপনে প্রশাসনের অগোচরে বেশ কিছু পূর্ণার্থীরা সাগরে আসতেন। হয়ত ঐ রকমের কোনও ট্রলারে করেই অন্য কোনও পূর্ণার্থীর সঙ্গে রাধিকা চলে যান বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন- অরুণাচল নিয়ে প্রশ্ন তুলে পোস্ট দিয়েছিলেন, তারপর তুমুল ট্রোলিং! তারপর একতার বার্তা মহিলার
ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বান্দা থানার পুলিশ খোঁজ নিয়েছে বিষয়টি। বৃদ্ধার ছেলে মা নিখোঁজ বলে এই ধরনের লিখিত অভিযোগ করেছিল বান্দা থানায়। কিন্তু এতদিন কোনও খোঁজ মেলেনি। মাকে আনতে পুত্র রাজেশ আহিরওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রামে। আরও জানা গিয়েছে তাঁর মাকে রাধিকা বলে ডাকা হলেও আসল নাম রাতিয়া আহিরওয়ার। এই মুহূর্তে রাধিকার পরিবার ও গ্রামবাসীরা মৃত রাধিকাকে চোখে দেখে বিশ্বাস করতে চাইছেন, তাদের রাধিকা মরে নি।






