রাজ্যে বহুদিন ধরে চলছে এই বাজি কারখানার রমরমা। অনেকেই অভিযোগ করেন এগুলি বেআইনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে এরকম রয়েছে একাধিক কারখানা। সম্প্রতি বজবজে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর এখনও সেখানে চলছে পুলিশের নজরদারি।
কিন্তু বাজির কারখানাকে কখন বলা হবে বেআইনি, জানেন কি আপনি। বিস্ফোরক পদার্থের মজুত ও মাত্রার উপর নির্ভর করে কারখানাগুলিকে বেআইনি বলা হয়। ১৫ কেজি পর্যন্ত বাজি ও বাজির মশলা তৈরির জন্য অনুমতি নিতে হয় জেলাশাসকের থেকে।
advertisement
১৫ থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত অনুমতি লাগে কন্ট্রোলার অফ এক্সপ্লোসিভের। তার বেশি ওজনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হয় চিফ কন্ট্রোলারের। এছাড়াও আরও অনেক নিয়ম রয়েছে, প্যাকেট, প্যাকেজিং-সহ আরও অন্যান্য কাজের জন্য লাগে অনুমতি।
আরও পড়ুনঃ সকালে বাইক নিয়ে বেড়িয়েছিল বন্ধুরা মিলে কিন্তু ঘরে ফেরা আর হল না! গতির বলি তিন
দুটি কাজের জায়গার মধ্যে ১৫ মিটারের দূরত্বও রক্ষা করতে হয়। কিন্তু অনেকসময় এই নিয়ম মানা হয় না। ফলে বাজি কারখানা হয়ে ওঠে বেআইনি। বজবজের ক্ষেত্রে আগেও এরকম অভিযোগ উঠেছিল। এর আগেও বজবজে এভাবে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। সে সময় তিনজন মারা গিয়েছিলেন। আর সেই ভয়াবহতা দেখে পরিবেশ দফতর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি হয়। কথা ছিল তাঁরা নজরদারি চালাবে। যে কমিটি তৈরি হয়েছে, তাঁরা এগুলি কিছুই দেখে না বলে অভিযোগ উঠছে। যার জেরেই ক্রমাগত রাজ্য জতুগৃহের চেহারা নিচ্ছে।
নবাব মল্লিক