বিজ্ঞানসম্মতভাবে যাতে গ্রাম বাংলায় চাষের কাজ করা হয় সেই লক্ষ্য নিয়েই এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। এই মৃত্তিকা পরীক্ষার রিপোর্ট কার্ড কৃষকদের হাতে আগামী ২০২৪ সালের ৩১ শে মার্চের মধ্যেই পৌঁছে যাবে। এই লক্ষমাত্রা নিয়েই এই প্রকল্পের কাজের শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষকের জমি থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে পুরুলিয়ার নিতুরিয়া ব্লকে।
advertisement
আরও পড়ুন: আমের জেলায় কমলালেবুর স্বাদে মজেছে দিদি-বোনরা! ব্যাপারটা কী
মাটির স্বাস্থ্য উর্বরতা শক্তি যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে ফসলের উৎপাদন আশানুরূপ হবে। মাটিতে থাকে বিভিন্ন ধরনের পোষক যেমন- নাইট্রোজেন ফসফেট , পটাশিয়াম সালফার, অনুখাদ্য হিসেবে থাকে বোরন দস্তা, মলিবডিনাম ইত্যাদি। এগুলি যদি মাটিতে ঠিকঠাক থাকে তাহলে যে কোনও ফসলের উৎপাদন আশানুরূপ হয়। মূলত বিভিন্ন জায়গায় মাটির এই উপাদানগুলি কী কী পরিমাণে আছে তা জানতেই এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতাতে কৃষকের জমি থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহের কাজে হাত দিয়েছে নিতুড়িয়া ব্লক কৃষি দফতর।
এ বিষয়ে নিতুরিয়া ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা পরিমল বর্মন বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত পিছু ১০০ টি মৌজার মাটির নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা কৃষকের জমিতে যাচ্ছি। নিতুড়িয়া ব্লকের ইটাপাড়া, গড়পঞ্চকোট, রঘুডি ও হেতাবহাল মৌজা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই মাটি পরীক্ষার জন্য পুরুলিয়ার হাতোয়ারাতে অবস্থিত মৃত্তিকা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। মাটির স্বাস্থ্য কার্ড (সয়েল হেল্থ কার্ড) হিসেবে পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তা থেকে জানা যাবে বর্তমানে জমির অবস্থা কেমন আছে এবং জমির উর্বরতা বাড়ানোর জন্য কি করনীয়। এই কাজের সূচনায় নিতুড়িয়া ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা পরিমল বর্মন নিজে মাটির নমুনা সংগ্রহ করেন এবং দফতরের অন্যান্য কর্মচারীদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।
জানা গিয়েছে নিতুড়িয়া ব্লকের ১২৬-টি মৌজা থেকে এই নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং প্রতিটি নমুনা সংগ্রহ করবে ওই নির্দিষ্ট মৌজার প্রতিনিধিরা। ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে মাটির স্বাস্থ্য কার্ড কৃষকের হাতে তুলে দিতে হবে। এই কাজ শেষে লক্ষ্যমাত্রা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থাকলেও নিতুড়িয়া ব্লক কৃষি দফতর আগামী ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-র মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন বলে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে। জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি






