এটাই তার জীবনের অঙ্গীকার। তাকে সহযোগিতা করে বন দফতর। এভাবেই দীর্ঘ প্রায় সাত থেকে আট বছর ধরে তিনি উদ্ধার করছেন একাধিক বিষধর সাপ। সংখ্যাটাও প্রায় বেশ কয়েক হাজার। বন্যার সময়ে তিনি উদ্ধার করেছেন সাপ।
advertisement
এমনই এক পরিবেশপ্রেমী মহম্মদ জাহাঙ্গীর মণ্ডল। বাড়ি চন্দ্রকোনা রোডে হলেও বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন দাসপুরে। সেখানেই বাড়ি করে পরিবারের সঙ্গে থাকেন, করতেন কাঠের ব্যবসা। সেই সূত্রে সখ্যতা হয় বন বিভাগের সঙ্গে। এরপর তিনি শুরু করেন সাপ ধরার কাজ।
সামান্য প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন তৎকালীন এক বন আধিকারিকের থেকে। এরপর থেকেই একটাই নেশা পরিবেশের জীবকে রক্ষা করা। গন্ধগোকুল থেকে গোসাপ, কিংবা যে কোনও বিষধর সাপ উদ্ধার করেন বয়স পঞ্চাশ হতে চলা জাহাঙ্গীরবাবু।
সকাল হোক কিংবা রাত এমনকি ঘাটাল মহকুমায় যে কোনও প্রান্তে বাড়িতে কিংবা কোনও স্থানে সাপ বের হলে প্রথমেই ফোন আসে তার কাছে। নিজের বাইক নিয়ে ছুটে যান সেখানে।উদ্ধার করে এনে সেবা শুশ্রূষা করে ছেড়ে দেন নিরাপদ স্থানে।
একদিকে যেমন সাধারণ মানুষকে তিনি বিষধর সাপের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন তেমনই পরিবেশ রক্ষায় তিনি বাঁচান বন্যপ্রাণ। কখনও কচ্ছপ, কখনও গন্ধগোকুল, কখনও আবার বিভিন্ন লুপ্তপ্রায় প্রাণী উদ্ধার করেছেন তিনি। একাধিকবার ঘাটালে বন্যার সময় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা তিনি উদ্ধার করেছেন বেশ কয়েক হাজার সাপ।
রঞ্জন চন্দ





