তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় জালে আটকে পড়া বিষধর সাপ, বিশেষত কেউটে ও গোখরো। মাছ ধরার জন্য পাতা জালেই শিকার খুঁজতে এসে ফেঁসে যায় তারা। এ বছর বর্ষার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত সুন্দরবনসহ গোটা বসিরহাট মহকুমা জুড়ে বন দফতরের হাতে স্থানীয়রা তুলে দিয়েছেন প্রায় শতাধিক সাপ। আগে যেখানে সাপ দেখলেই পিটিয়ে মারা হত, সেখানে এখন পরিবর্তিত হচ্ছে মানুষের মনোভাব।
advertisement
আরও পড়ুন : বাবার কেনা দোকানে ব্যবসা করছিল ছেলে… কিন্তু হঠাৎ আদালতের এক নির্দেশে সব ওলটপালট
বিজ্ঞানের প্রসার ও সচেতনতার ফলে মানুষ বুঝতে পারছে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সাপের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখন আর মারেন না, বরং বন দফতরকে খবর দেন। বনকর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে এসে সাপ উদ্ধার করে নিরাপদ জঙ্গলে ছেড়ে দিচ্ছেন। হিঙ্গলগঞ্জের বাঁকড়ার বিএসএফ রোডের কালীবাড়িতে সম্প্রতি দেখা মিলল বিশাল এক কেউটে সাপের। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫-৬ ফুট। স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার মণ্ডল প্রতিদিনের মতো আটল পেতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সকালে আটল তুলতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে তাঁর।
আরও পড়ুন : মহিলাদের নিরাপত্তায় আলাদা টিম, অতিরিক্ত ফোর্স নামছে! দুর্গাপুজোকে ঘিরে কোতুলপুরে কড়া নিরাপত্তা
বিশালাকার কেউটে সাপ আটকে পড়েছে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। খবর ছড়াতেই এলাকায় ভিড় জমে যায়। বনকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপটিকে উদ্ধার করে। একইভাবে মিনাখাঁর কুলটির ঘোষপুর এলাকাতেও জালে আটকে পড়ে এক বিষধর কেউটে। ঘোষপুর বাজার সংলগ্ন একটি মেছোভেড়িতে আটকে পড়া সাপটিকে স্থানীয়রা বাঁচিয়ে রাখেন। সঙ্গে সঙ্গে বনদফতরকে খবর দিলে কর্মীরা উপস্থিত হয়ে সাপটিকে উদ্ধার করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয়রা জানান, “আগে সাপ দেখলেই মেরে ফেলতাম, কিন্তু এখন জানি এরা প্রকৃতির অঙ্গ। তাই বন দফতরকে খবর দি।” বর্ষার মরশুমে একের পর এক সাপ উদ্ধারের ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে, মানুষের মধ্যে যে সচেতনতা গড়ে উঠছে, তা একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষায় দৃষ্টান্ত, অন্যদিকে মানুষ-প্রকৃতির সহাবস্থানের দিকেও বড় পদক্ষেপ।