পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির কংক্রিটের মেঝের ফাঁকা অংশে দীর্ঘদিন ধরেই বাসা বেঁধেছিল এক বিষধর কেউটে সাপ। বাড়ির চারপাশে জল থাকার সুযোগে সাপটি সেখানে প্রজননের জন্য আশ্রয় নিয়েছিল। জানা গেছে, প্রায় ২৫ থেকে ২৭টি ডিম পেড়েছিল কেউটে সাপটি। সন্ধ্যার পর সেই ডিম থেকে একে একে পাঁচ-ছ’টি বাচ্চা বেরিয়ে ঘরের মধ্যে ঘোরাফেরা শুরু করে। আকবর আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বিবি ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রথমে তিনটি সাপের খোলস দেখতে পান। পরে নজরে আসে কয়েকটি জীবন্ত বাচ্চা সাপ। ভয়ে আতঙ্কিত আনোয়ারা বিবি তড়িঘড়ি দুইটি সাপের বাচ্চা সরিয়ে ফেলেন এবং স্বামী আকবরকে খবর দেন। আকবর আলীও আতঙ্কের মধ্যেই ঘরের মধ্যে থাকা আরও কয়েকটি সাপ সরিয়ে ফেলেন।
advertisement
রাতভর সাপের ভয়ে ঘরের মধ্যে বছর পাঁচেকের ছোট সন্তানকে কোলে নিয়ে জেগে কাটে পুরো পরিবারের। সকাল হতেই ডাকা হয় সাপ ধরার বিশেষজ্ঞ দলকে। বাড়ির কংক্রিটের মেঝে ভেঙে উদ্ধার করা হয় আরও ১০-১২টি বিষধর সাপের বাচ্চা ও প্রায় ছ’ফুট লম্বা এক পূর্ণবয়স্ক কেউটে সাপ। আকবর আলী বলেন, “বাড়ির মধ্যে এত সাপ দেখে রীতিমত আমরা সবাই আতঙ্কিত ছিলাম। প্রায় ২৫ টি ডিমসহ একাধিক সাপের বাচ্চা, কয়েকটি পূর্ণবয়স্ক সাপ উদ্ধার হয়েছে আমরা এগুলি বন দফতরের হাতে তুলে দেব। সাপ দেখলেই সাধারণ মানুষের ভয় লাগে। আর সেখানে আমার বাড়ির ভেতরে সাপের আস্তানা। রীতিমত ভয় পেয়েছিলাম।”
বর্তমান সময়ে বাসস্থান ও খাদ্যের অভাবে সাপ বারবার লোকালয়ে চলে আসছে। বহু সময় দেখা যায় সাপ ঘরে প্রবেশ করছে। তবে এখানে একটি পূর্ণবয়স্ক সাপ রীতিমত তার পরিবার নিয়ে ঘরের মধ্যেই বসবাস শুরু করেছিল। আর তাতেই আতঙ্কে রাত গুজরান করেন আকবর আলী ও তাঁর পরিবার। ১০-১২ টি বিষধর সাপের বাচ্চা ও একটি বড় কেউটে সাপ সহ ২৫ টি সাপের ডিম উদ্ধার করে নিয়ে যায় বন দফতরে কর্মীরা। সাপ উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও আতঙ্ক কাটেনি আকবর আলী সহ তার পরিবারের মানুষজনদের।