বৃহস্পতিবার বিকেলে এই চঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি থানার অন্তর্গত মেরিগঞ্জে। দুপুরে পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেখানেই তাঁকে সাপে কাটে। স্নান সেরে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টা জানান তিনি। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ঝাড়ফুঁক চলে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই তাতে কোনও ফর হয়নি। জানা গিয়েছে, ওই ওঝা গাছ-গাছালি বেটে তার রস খাইয়েছিলেন সইদা শেখ’কে। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা ভাতারে, ভেঙে পড়ল একাধিক বাড়ি
শেষে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন ঐ ওঝা। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা ওই মহিলাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা ফের একবার বুঝিয়ে দিল, সুন্দরবন এলাকায় এখনও সাপে কাটা নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কারেই ভরসা রাখছেন বাসিন্দাদের একাংশ।
সুমন সাহা